বাংলা সিনেমার (Bengali Cinema) সোনালি অধ্যায়ের অবসান। প্রয়াত বিশিষ্ট পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত (Budhhadeb Dasgupta) । কিডনির (Kidney) অসুখে ভুগছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ডায়ালিসিস চলছিল। দীর্ঘ রোগভোগ ও সঙ্গে বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যা, ধকল নিতে পারেননি বুদ্ধদেববাবু। দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হয়েছেন তিনি। দূরত্ব, গৃহযুদ্ধ, ফেরা, তাহাদের কথা, চরাচর তাঁর জনপ্রিয় ছবিগুলির (Films) অন্যতম।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ফের এক নক্ষত্র-পতন। প্রয়াত হলেন জাতীয় পুরস্কার (Award) বিজয়ী পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হয়েছেন বিশিষ্ট পরিচালক (Director)। ৭৭ বছর বয়সী এই পরিচালক দীর্ঘদিন ধরে কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। ডায়ালিসিস (Dialysis) চলছিল তাঁর। আজ সকালেও ডায়ালাসিস হওয়ার কথা ছিল। গতকাল রাত থেকেই তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। শেষমেশ আজ সকালে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। তাঁর প্রয়াণে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে (Bengali Film Industry) শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সত্যজিৎ রায় (Satyajit Roy), ঋত্বিক ঘটক (Ritwik Ghatak) মৃণাল সেনদের (Mrinal Sen) যোগ্য উত্তরসূরি ছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। বাংলা ছবিকে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিলেন তিনি। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেনদের পর বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের বাংলা ছবি গোটা দেশের পাশাপাশি বিদেশের দর্শকদেরও প্রশংসা কেড়েছে। ছবি পরিচালনার পাশাপাশি লিখতেন কবিতাও।
কবি বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বাংলার সাহিত্য জগতে আলাদা জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন। দূরত্ব, গৃহযুদ্ধ, ফেরা, তাহাদের কথা, চরাচর তাঁর জনপ্রিয় ছবিগুলির অন্যতম। উত্তরা, স্বপ্নের দিন ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ১৯৭৮ সালে প্রথম স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘দূরত্ব’ তৈরি করেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত । এছাড়াও বাঘ বাহাদুর, লাল দরজা তাঁর প্রশংসিত ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম। বাবা তারাকান্ত দাশগুপ্ত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক।
১৯৪৪ সালে পুরুলিয়ার (Purulia) আনাড়ায় জন্ম হয় বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের। ১২ বছর বয়সে হাওড়ার দীনবন্ধু স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ছোট থেকেই লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন। পরবর্তী সময়ে স্কটিশচার্চ কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন। পড়াশোনার পর্ব চলাকালীনই বাংলা ছবির প্রতি আকৃষ্ট হন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ভালো ছবি তৈরির বাসনার শুরুটা ছাত্রাবস্থা থেকেই। অদম্য জেদ আর প্রবল ইচ্ছাশক্তির উপর ভর করে এগোতেই সাফল্য। তাঁর তৈরি একের পর এক ছবি বাঙালির মনে রয়ে যাবে চিরদিন।