অ্যান্টিবডি ককটেল প্রয়োগে সুস্থ ২ কোভিড রোগী, দিশা দেখাল দিল্লির হাসপাতাল

কোভিডের চিকিৎসায় বড় সাফল্য পেল নয়াদিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতাল। কোভিড আক্রান্ত রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডি ককটেলের সফল প্রয়োগ করে সুস্থ করে তুলল তারা। দু’জন কোভিড রোগীকে এই অ্যান্টিবডি থেরাপি দেওয়া হয়। দু’জনই অ্যান্টিবডি ককটেল প্রয়োগের ১২ ঘণ্টার মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এক বিবৃতিতে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, জ্বর, কাশি, মাইলজিয়া, গুরুতর দুর্বলতা ও লিউকোপেনিয়ায় আক্রান্ত ৩৬ বছরের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে কোভিড ধরা পড়ার ৬ দিনের মাথায় অ্যান্টিবডি ককটেল দেওয়া হয়েছিল। ১২ ঘণ্টার মধ্যেই রোগীর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় ও তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্য দিকে ৮০ বছর বয়সি আর কে রাজদানের ডায়াবিটিস, হাইপারটেন, জ্বর ও কাশি ছিল। অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯৫ শতাংশের বেশি। ৫ দিনের মাথায় তাঁকেও অ্যান্টিবডি ককটেল দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।

অ্যান্টিবডি ককটেলে রয়েছে কাসিরিভিম্যাব এবং ইমডেভিম্যাব নামে দু’টি অ্যান্টিবডি। করোনার বিরুদ্ধে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই দু’টি অ্যান্টিবডিই বিশেষ কার্যকর বলে দাবি চিকিৎসকদের।

স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক পূজা খোসলা বলেন, ‘‘মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি উপযুক্ত সময়ে ব্যবহার করা হলে ভবিষ্যতে কোভিডের চিকিৎসায় খেলা ঘুরে যেতে পারে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করা এড়ানো যাবে। এর প্রয়োগে স্টেরয়েড ও ইমিউনোমোডুলেশন ব্যবহার নাও করা যেতে পারে বা অল্প পরিমাণ ব্যবহার করলেই চলে। যা আবার মিউকরমাইকোসিস, সেকেন্ডারি ব্যাকটিরিয়া ও ভাইরাল সংক্রমণের মতো মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকি আরও কমাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি সম্পর্কে সচেতনতা স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের বোঝাও কম করতে পারে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.