প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকে বাংলার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে আলোচনা সারলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । আলোচনা শেষে নরেন্দ্র মোদীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক অধিকার বাংলায় রক্ষিত হচ্ছে না। বাংলা ভারতের একটি প্রদেশ। সংবিধানের মর্যাদা মানতে হবে বাংলার সরকারকে। কিন্তু তা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও নাড্ডাজির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছি।’’
বাংলায় (Bengal) ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ নিয়ে মঙ্গলবারই শাহ-নাড্ডাদের রিপোর্ট দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী দল পরিচালনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে পরামর্শও দিয়েছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। আজ বিজেপির (Bjp) শীর্ষ নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে দল পরিচালনা নিয়েও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে নিজের বাড়িতে আলোচনা করেন নরেন্দ্র মোদী।
বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। যা নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধে নিত্যদিন তোপ দাগছেন বিজেপি নেতারা। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও (Jagdeep Dhankhar) রাজ্য বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে শাসকদল তৃণমূলের (Tmc) বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন।
বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হারিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর ‘পুরস্কার’ দিয়েছে দল। বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর বুধবারই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
দিল্লিতে মোদীর বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক অধিকার বাংলায় রক্ষিত হচ্ছে না। বাংলা ভারতের একটি প্রদেশ। সংবিধানের মর্যাদা মানতে হবে বাংলার সরকারকে। কিন্তু তা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও নাড্ডাজির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছি।’’
এদিকে, বিধানসভা ভোটে বাংলায় দলের আশানুরূপ ফল না হওয়ার প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে রাজ্য বিজেপিতে। ‘বেসুরো’ গাইছেন খোদ মুকুল রায়। তালিকায় সব্যসাচী দত্ত থেকে শুরু করে রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষালরা। ক্রমেই তালিকাটা দীর্ঘ হচ্ছে। বিধানসভা ভোটের ফলই গেরুয়া শিবিরের সব হিসেব-নিকেশ উল্টে দিয়েছে। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। একদিকে কলকাতায় দলের সদর কার্যালয়ে দলবদলের চিত্র টিভির পর্দায় দেখা যেত নিত্যদিন।
তৃণমূলের একের পর এক নেতা-কর্মী দলে-দলে নাম লিখিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। এমনকী চলচ্চিত্র জগত থেকেও অনেকে এসে যুক্ত হয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে ভোটের ফল বেরনোর পর ছবিটা বদলেছে। বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে তৃণমূল ছেড়ে আসা অনেক নেতারই। একই ছবি জেলাগুলিতেও।