বাতিল হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার সেই অবসাদে আত্মহত্যা করল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। দিনহাটার বাসিন্দা ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নাম বর্ণালী বর্মন। গোপালনগর হাই স্কুলের ছাত্রী ছিল সে। সোমবার রাতে পড়ার ঘর থেকে ওই ছাত্রীর দেব উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, পড়ার ঘর থেকেই একটি লাল কালিতে লেখা নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে সে লিখেছে বাবার সব ইচ্ছা পূরণ করতে পারেনি।
পরিবারের দাবি, মৃত ছাত্রী পরীক্ষা বাতিলের কথা শুনে অবসাদে ভুগছিল। সেই অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি। দেহটি আপাতত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, রবিবার রাজ্যের মানুষের কাছে মাধ্য়মিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতামত চেয়েছিলেন। তিনি এ ব্যাপারে টুইট করে এই আর্জি জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে আমরা এক বিশেষজ্ঞ কমিটিও গড়ে দিয়েছি। দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ব্যাপারে ওই কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা অভিভাবক, রাজ্যের মানুষ, বিশেষজ্ঞ, পড়ুয়াদের কাছে থেকে মতামত জানতে চাইছি।”
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, “মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার বিপক্ষে এসেছে প্রায় ৭৯ শতাংশ মতামত দেওয়া হয়েছে। ৮৩ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিক -এর বিপক্ষে এসেছে। তিনি জানান, সবার মতামত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞ কমিটিও বলেছে। অনেক স্কুল সেফ হাউজ হয়ে গিয়েছে। ৩৪ হাজার মতামত পেয়েছি। “মৃতের পরিবারের দাবি ওই ছাত্রীও মেল পাঠিয়েছিল। মৃতের বাবা একটি মেলের স্ক্রিনশট সামনে এনেছে। সেখানে ওই ছাত্রী লিখেছেন, কোভিডবিধি মেনেই স্কুলে পরীক্ষা নেওয়া হোক। ওপেন বুক সিস্টেমে পরীক্ষা নিলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কোয়ালিটি বোঝা যাবে না। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়, কারণ অনেকের কাছেই স্মার্টফোন নেই। তাই উপযুত্ত কোভিড বিধি মেনেই পরীক্ষা হোক।