Corona Vaccine: করোনা টিকা নষ্ট হলে ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে পড়বে কোপ, রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র

দেশজুড়ের টিকার (Corona Vaccine) জোগান অর্পযাপ্ত! দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে এমন অভিযোগ আসছে। ফলে অতিমারী কালেও অনেকে টিকা পাচ্ছেন না বলেও মিলছে খবর। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যের বিরুদ্ধে করোনা ভ্যাকসিন নষ্টের অভিযোগ উঠছে। ভ্যাকসিন নষ্টের পরিমাণ কমাতে এবার কড়া হচ্ছে কেন্দ্র। এ নিয়ে রাজ্যগুলিকে সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।

সোমবারই করোনার টিকা দেওয়ার দায়িত্ব ফের নিজের হাতে তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, টিকা নষ্টের প্রভাব পড়বে রাজ্যগুলির করোনা ভ্যাকসিন প্রাপ্তির উপর। অর্থাৎ যে রাজ্য মাত্রাতিরিক্ত টিকা নষ্ট করবে, তার ভাঁড়ারে ভ্যাকসিনের প্রাপ্তি ততটাই কম হতে পারে। কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্তের জেরে ক্ষুব্ধ বহু রাজ্য। তবে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে নারাজ।


দেশজুড়ে টিকার সংকট। অনেক রাজ্যে ভ্যাকসিনের অভাবে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরুই করা যায়নি। অনেক জায়গায় আবার শুরুর পরও বন্ধ করে দিতে হয়ছে। এমনকী ৪৫ ঊর্ধ্বদেরও সকলে টিকা পাচ্ছেন না। অথচ, এসবের মধ্যেও ভারতে প্রায় ৬.৩ শতাংশ করোনার ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর। কোনও না কোনও কারণে এই বিপুল পরিমাণ টিকা ব্যবহার করা যায়নি। যা নিয়ে একাধিক রাজ্যের উপর ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় সরকার।

ইতিপূর্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রক রাজ্যগুলিকে বারবার অনুরোধ করা হয়ছিল নষ্ট হওয়া ভ্যাকসিনের পরিমাণ যেন কোনওভাবেই ১ শতাংশের উপরে না যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রচুর পরিমাণ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই তালিকায় সবার উপরে নাম ঝাড়খণ্ডের। কেন্দ্রের দাবি সেরাজ্যে মোট বরাদ্দের ৩৭.৩ শতাংশ ভ্যাকসিনই নষ্ট হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে ছত্তিশগড়। সেরাজ্যেও নষ্ট হয়েছে ৩০.২ শতাংশ ভ্যাকসিন। তামিলনাড়ুতে নষ্ট হয়েছে ১৫.৫ শতাংশ। কাশ্মীরে ১০.৮ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে ১০.৭ শতাংশ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে প্রায় ৬.৩ শতাংশ ভ্যাকসিন শুধু সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়নি বলে নষ্ট হয়েছে। যদিও সে কথা মানতে নারাজ রাজ্যগুলি। এবার টিকা নষ্ট কমাতে কড়া হল কেন্দ্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.