করোনা আবহে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক হওয়া নিয়েও জমেছে আশঙ্কার কালো মেঘ৷ এর মধ্যে ২০২২ বেজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক (2022 Beijing Winter Olympics) বয়কটের (boycott) দাবি জোরাল হয়৷ ক্রমবর্ধমান বয়কটের দাবির মধ্যে এবার চিন সরকারের বিরুদ্ধে সোমবার ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ (gross violations of human rights) উদ্ধৃত করে কূটনীতিক গেমস বয়কটের আহ্বান জানালেন ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার (Europe and North America) দেশগুলির নেতারা৷ একই সঙ্গে সমন্বিতভাবে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছেন তাঁরা৷
পদক্ষেপের লক্ষ্য হল সরকার (Governments) এবং নির্বাচিত কর্মকর্তা (elected officials) এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের উপর চাপ বাড়িয়ে আগামী বছরের অলিম্পিকের (next year’s Olympics) আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করা৷ South China Morning Post-এ এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ (US House of Representatives) ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান টম ম্যালিনোভস্কি (Tom Malinowski) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘একাধিক গণতান্ত্রিক দেশের বিধায়কদের এই সমন্বিত প্রচেষ্টা আইওসি অগ্রাহ্য করতে পারে না৷ এমন বার্তা প্রেরণ করে যদি এটি জনস্বাস্থ্যের উদ্বেগ নিয়ে টোকিও গেমস স্থগিত করার বিষয়ে আলোচনা করতে পারে৷ সুতরাং লক্ষ লক্ষ লোকের কেন্দ্রীকরণ শিবিরের বিষয়ে চিন গেমসকে পদক্ষেপ নিতে পারে৷’
গত মাসে মানবাধিকার কমিটির একটি গ্রুপ চিনে শীতকালীন অলিম্পিকের (Winter Olympics) সম্পূর্ণ বয়কটের (complete boycott) আহ্বান জানিয়েছিল৷ তাদের বক্তব্য ছিল, গেমসে অংশ নেওয়া উইঘুর জনগণের বিরুদ্ধে চিনের গণহত্যাকে সমর্থন করার সমতুল্য৷ এক যৌথ বিবৃতিতে উইঘুর, তিব্বতি, হংকং-এর বাসিন্দা ও অন্য প্রতিনিধিত্বকারী একটি জোট বলেছিল, চিন সরকার উইঘুর জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা করছে৷ এছাড়াও পূর্ব তুর্কিস্তান, তিব্বত এবং দক্ষিণ মঙ্গোলিয়ায় পাশাপাশি নজিরবিহীন দমন-অভিযান পরিচালনা করছে। পাশাপাশি হংকং-এ গণতন্ত্রের উপর সর্বাত্মক হামলা চালিয়েছে।
যৌথভাবে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘এই সময়ে বেজিং অলিম্পিক গেমসে অংশ নেওয়া উইঘুর জনগণের বিরুদ্ধে চিন গণহত্যা সমর্থন করা৷ সর্বগ্রাসী চিনা শাসনের ক্রমবর্ধমান দমনমূলক নীতিকে বৈধ করার সমতুল্য হবে।’ ফলে দিনের পর দিন বেজিং গেমস বয়কট করার দাবি ক্রমাগত বাড়ছে। চিনের উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার (US House of Representatives Speaker) ন্যান্সি পেলোসিও (Nancy Pelosi) আগামী বছর বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা শীতকালীন অলিম্পিককে ‘কূটনৈতিক বয়কট’ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিনজিয়াং-এ চিনা পদক্ষেপ গুলিকে ‘‘গণহত্যা’’ (genocide) হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে৷ ফেব্রুয়ারিতে কানাডিয়ান এবং ডাচ উভয় সংসদই উইঘুর সংকটকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়েছে। পরে ইউরোপের প্রথম সংসদ হিসেবে এপ্রিলে যুক্তরাজ্য জিনজিয়াং-এ চিনের চলমান ক্র্যাকডাউনকে একটি “গণহত্যা” ঘোষণা করেছিল।