ড. শ্যামাপ্রসাদের শিক্ষাদর্শ

৮ আগস্ট ১৯৩৪ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে তখনকার মুসলিম লিগ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী খান বাহাদুর এম. আজিজুল হক কর্তৃক নিযুক্ত হন। তখন তার বয়স মাত্র ৩৩ বছর। অনেকের মতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যয় ছিলেন পৃথিবীর কনিষ্ঠতম উপাচার্য।
এর আগে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের সদস্য হন। সেটি ছিল একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার পরিণতি। ২৫ মে ১৯২৪ পাটনায় হঠাৎ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হন। তখন তার স্থলে অধিকাংশ সদস্যের প্রস্তাবে শ্যামাপ্রসাদকে সেনেটের সদস্য করা হয়। সেনেট-সদস্য। হিসাবে শ্যামাপ্রসাদের ভূমিকা অত্যন্ত স্মরণীয়। তার শিক্ষা-প্রশাসনের প্রতি উত্তরাধিকার-সূত্রে প্রাপ্তি নিশ্চয় ছিল। সেই সাথে ছিল অধীত ও অর্জিত গুণ ও অভিজ্ঞতা।
১৯২৬ আইন পড়তে তিনি ব্রিটেনে যান। ব্যারিস্টার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার আগ্রহ ছিল ইংলন্ড ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশাসন শিক্ষা-পরিচালনার বিষয়টি ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করা। এসময় ব্রিটেনে গবেষণা করতেন ড. সুরেন্দ্রনাথ সেন। তিনি Po316901—“He wanted to acquire first hand knowledge of British and French Universities.’ ব্যারিস্টারি শিক্ষার পাশাপাশি তিনি তার অন্য সময় ব্যয় করেন ‘to the study of western educational systems.’
সেনেট সদস্য হিসাবে শ্যামাপ্রসাদ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ছিলেন। এর মধ্যে পিতা আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণসংক্রান্ত প্রস্তাবে তিনি সুচিন্তিতভাবে যুক্ত করেন স্যার আশুতোষের শিক্ষানীতি, মাতৃভাষা প্রীতির ধারাবাহিকতা। সেই প্রস্তাবের একাংশ উদ্ধার করছি : Let us not falter but let us go forward looking ahead of the time when out of mother-tongue will be medium not only of our Matriculation Examination but also of the highest examination of the University.” মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার দাবিতে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রাম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবজনক ইতিহাস।
প্রথম প্রয়াস ব্যর্থ হয় ১৮৯১ সালে। আশুতোষের দাবি ছিল সংস্কৃতের পাশাপাশি বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া ভাষাতেও পরীক্ষা দানের অধিকার প্রদান। এফ. এ.-ধ্রুপদী ভাষা (Classical languages)-এর পাশাপাশি মাতৃভাষাকেও (corresponding vernacular language) অধিকার দিতে হবে। উচ্চতর শিক্ষায়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরেও যেন এই সুযোগ থাকে। সাহিত্যের ইতিহাস (History of Literature)-কেও মাতৃভাষার বিকাশের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি রাখেন আশুতোষ। সেই প্রস্তাব ১৭-১১ ভোটে পরাজিত হয়। আশুতোষ অবশ্য ছেড়ে দেবার মানুষ ছিলেন না।
রবীন্দ্রনাথ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে সমর্থন করে লিখলেন তার শিক্ষার হেরফের’ প্রবন্ধ। ১২৯৯ বঙ্গাব্দের পৌষ সংখ্যা ‘সাধনা’-য় প্রকাশিত এই প্রবন্ধ সাহিত্য-সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র ‘দুই বার’ পড়েছিলেন, সমর্থন করেছিলেন চিঠি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথকে। ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলে এই মতের পক্ষে বঙ্কিমচন্দ্র আশুতোষের পক্ষে ছিলেন।
শ্যামাপ্রসাদ পিতার কর্মধারাকে প্রসারিত করার চেষ্টা করেছেন। আশুতোষের উৎসাহে দীনেশচন্দ্র সেন লিখলেন ‘বঙ্গ ভাষা ও সাহিত্য (১৮৯৪)। তার ইংরেজি অনুবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করল (History of Bengali Language and Literature)। সমাবর্তনের বক্তৃতায় আশুতোষ এই কর্মকাণ্ডের পরিচয় লিপিবদ্ধ করলেন। শ্যামাপ্রসাদ এই কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। কখনো ‘রামতনু লাহিড়ী তহবিল গঠনে, পরিচালনায়, কখনো Bengali Ballads Committee-র সভাপতি হিসাবে বাগীশ্বরী অধ্যাপক পদ সৃষ্টি বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সমাবর্তনে বক্তৃতা দেবার ব্যবস্থা করে—বিশেষ অধ্যাপকের পদ প্রদান করে। শুধু তাই নয়, সত্যাগ্রহী ছাত্রদের পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা, স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্রদের সরস্বতী পূজার কারণে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে সুরাহা করা, কারারুদ্ধ ছাত্রদেরও পরীক্ষা দেবার ব্যবস্থা করেন শ্যামাপ্রসাদ। উপাচার্য হিসাবে ছাত্রদের ইউনিয়ন গঠনের উদ্যোগ তারই।
সেনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের ভবিষ্য-নিধি (Provident Fund)-র ব্যবস্থা বিষয়ক তার প্রস্তাব গৃহীত হয় ২৪ আগস্ট ১৯২৮। আজ যারা ত্রিপুরার ছোট কোনো শহরে লেনিন মূর্তির উল্টে পড়ার পর কেওড়াতলার বাগানে শ্যামাপ্রসাদের মর্মর মূর্তি ভাঙতে যায়—তারা ছাত্র ইউনিয়নের দাবিতে অন্তত যখন অবস্থান করে—এই ইতিহাস কি তারা জানে?
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত থাকার সঙ্গে সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ অধ্যাপক-কর্মচারীদের সংগঠনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪৫ তিনি কলকাতায় অনুষ্ঠিত All India Educational Conference-এর সভাপতির ভাষণে ‘Educational Reconstruction সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩ All Bengal University and College Teachers Conference’-এর অধিবেশনে আজকের কফিহাউস বা তখনকার অ্যালবার্ট হলে ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩-এ শ্যামাপ্রসাদ সভাপতির বক্তৃতা দিয়েছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে কার্যকর ফললাভে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সঙ্গে জন সমর্থন খুব জরুরি—‘Ultimately depend on public support. শিক্ষাকে জন আন্দোলনের সঙ্গে মিশিয়ে দেবার বাসনা এখানে স্পষ্ট। ৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫-এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার সঙ্গে জীবিকার সম্পর্ক রচনার প্রস্তাব দিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেন শ্যামাপ্রসাদ। স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতায় আয়োজিত এই বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘Education and Employment’. বিষয়ানুগ। হাতে কলমে শিক্ষার প্রস্তাব শ্যামাপ্রসাদের বিশেষ ভাবনার অন্তর্গত ছিল। শিক্ষক-অধ্যাপকদের সংগঠনের সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদের নিবিড় সংযোগের পরিচয় সন্ধান করলে বোঝা যাবে তিনি অধ্যাপক সংগঠনের উপর যথেষ্ট নির্ভর করতেন—তাঁরাও তাঁকে নিছক প্রশাসক ভাবতেন না। দূরদর্শী এই মহৎ মানুষ সংগঠন ও স্বাধীনতা-উত্তর শিক্ষা সম্পর্কে কী ভাবতেন, তা স্পষ্ট হবে বিষ্ণুপুরে অনুষ্ঠিত All Bengal Teacher’s Association-এর ১৬.৭.১৯৫০-এর বক্তৃতায়। বক্তৃতাটির শিরোনাম ছিল—‘Revamping the Education System. এই বক্তৃতায় তিনি পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষকদের সঙ্গে সঙ্গে শত-সহস্র শিক্ষার্থীর বাস্তুহারা হবার প্রসঙ্গ তোলেন। তার ভাষায় ‘While speaking about rehabilitation of teachers we have also to consider the future prospect of thonsands of uprooted school-going children’ এই মহৎ মানবিক দেশনেতাকে আমরা কালিমালিপ্ত করি, এই দুর্ভাগা জনতার প্রায়শ্চিত্ত আজকের অশিক্ষা-কুশিক্ষার ‘বখাটে’ উদভ্রান্ত পরিস্থিতি নয় কি ? শিক্ষক-সমিতির সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি দেশ বিভাগের গ্লানি যন্ত্রণার কথা ভোলেন না—মনে রাখেন বাস্তুচ্যুত ছাত্রদের Pet— “Who are today scattered to different parts of the province in a most miserable condition.’
জীবৎকালে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে দীক্ষান্ত ভাষণ দিয়েছেন শ্যামাপ্রসাদ। সেগুলির উপর বিস্তৃত আলোচনা করলে তাঁর শিক্ষাদর্শ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা হবে। এই প্রবন্ধে সেই অবসর নিচ্ছি না। শুধু কিছু গুরুত্বপূর্ণ দীক্ষান্ত ভাষণের তথ্য উপস্থাপন করছি।
১। ১৫.১২.১৯৩৬ : নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়; বক্তৃতার শিরোনাম : ‘Aims of University Education in India’.
২। ১৭.৮.১৯৩৭: বম্বে বিশ্ববিদ্যালয়; বক্তৃতার শিরোনাম : ‘University Education and our Destiny’.
৩। ২৭.১১.১৯৩৭ : পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়; বক্তৃতার শিরোনাম : ‘Role of the Universities in Making the Nation’.
৪। ৫.৩.১৯৩৮ : কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়; শিরোনাম ছিল না। ৫। ২৩.১১.১৯৪০ : আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয়; বক্তৃতার শিরোনাম : ‘Re-orienting the University Education System to Changing India’.
৬। ১.১২.১৯৪০ : বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়; বক্তৃতার শিরোনাম : ‘Forgoing the Future Through Universities in India’.
৭। মে ১৯৪১ : গুরুকুল বিশ্ববিদ্যালয়, কাংড়ি, হরিদ্বার; বক্তৃতার শিরোনাম : Purpose of Higher Education’.
৮। ১৩.১২.১৯৫২ : দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়; বক্তৃতার শিরোনাম : Reforming Higher Education For New India.
এই সূত্রে আমাদের মনে পড়ছে ২৫.৪.১৯৫১-র একটি অসাধারণ ভাষণের কথা। পণ্ডিচেরীতে ‘শ্রীঅরবিন্দ মেমোরিয়াল কনভেনশনে’ শ্যামাপ্রসাদের বক্তৃতার শিরোনাম ছিল ‘Universities for Spiritual Rebirth’. এই বক্তৃতার নির্যাস করলে একটি পুস্তিকা রচনা হয়ে যায়। সে অবসর এখানে নেই। শেষোক্ত বক্তৃতায় তিনি 76011360101— “the establishment of a university where the eternal varities of life will be taught and retaught to a stricken people becomes supremely relevant’. জাতির জীবন শুধুমাত্র জাগতিক সিদ্ধি সাফল্য বৃত্তিগত সমস্যা নিয়ে ব্যাপৃত থাকলেই হবে না—বিশেষত ভারতীয় শিক্ষাকেন্দ্র তার চিরন্তন (eternal) জীবন বৈচিত্র্য সম্পর্কে জ্ঞানকাণ্ডের পরিচয় প্রদান করা ও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আয়োজন না রাখলে উচ্চশিক্ষা কখনোই তাৎপর্য পাবে না। শ্রী অরবিন্দের আধ্যাত্মিক জীবনের মূল্য নিরূপণে শ্যামাপ্রসাদ ১৯০৯-এ তার কারাগারে নিক্ষিপ্ত হওয়া তার পরবর্তী জীবনের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিকোণ স্থাপন করেছেন। তার ভাষায় কারাগার তাকে বাইরের জানালা বন্ধ করেছিল, কিন্তু তিনি শিশুজীবনের অন্তর্জগতের সন্ধান পান। ‘The window that had been closed flew upon and the Divine stood revealed before him. ঠিক এইভাবে, দেশের স্বাধীনতার উদ্যোগ আর দেশের চিরন্তন দিব্য জীবনাকাঙ্ক্ষা এক অনবচ্ছিন্ন কাম্য শিক্ষানীতি বলে তিনি ঘোষণা করেন।
১৯৫১-র ১২ মে লোকসভায় ‘বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বিধি সম্পর্কে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী এনেছিলেন। সেগুলিতে শ্যামাপ্রসাদের শিক্ষাদর্শের গভীর আত্মসন্ধানী ও দূরদৃষ্টির পরিচয় পাওয়াযায়। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন সম্পর্কে গভীর শ্রদ্ধা না থাকলে এই বক্তৃতা প্রদান ছিল অসম্ভব। মূলত চারটি বিষয়ে শ্যামাপ্রসাদ সেদিন সংশোধনী উত্থাপন করেন। (১) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে যেন আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ভাঙা না হয়—তাঁর অক্ষেপ ছিল এই প্রস্তাবিত বিধিতে তা-ই হয়েছে। ‘the Visva-Bharati Bill on the model that Rabindranath Tagore thought. শ্যামাপ্রসাদের তীক্ষ মত ছিল, যদি সে কথা না ভাবা হয় বিশ্বভারতী বিধি নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত। প্রস্তুত হয়ে অগ্রসর হওয়া জরুরি।
২। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যাচর্চার ক্ষেত্রে যে স্বাধীনতা 2167 ‘the complete academic freedom of VisvaBharati… এই স্বাধীনতা না পেলে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য রক্ষা অসম্ভব।
৩। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যায় তো শুধু উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্র নয়। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র আছে; শিল্প শিক্ষার, গ্রাম উন্নয়নের বিস্তৃত কর্মকান্ড আছে। লোকসভা বক্তৃতায় শ্যামাপ্রসাদ বলেন : “You must trust the university to admit students right from the child stage upto the highest stage’. বিশ্বভারতীর শিক্ষাব্যবস্থায় রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের শাসন তিনি অপছন্দ করেছেন।
৪। বিশ্বভারতীর আশ্রমিক পরিবেশ ঠিকমতো বজায় রাখার পক্ষে ড. মুখোপাধ্যায় সুস্পষ্ট অভিমত দিয়েছিলেন। বৃক্ষতলে মুক্ত শিক্ষাদানের ব্যবস্থা বিশ্বভারতীকে প্রাচীন ভারতীয় তপোবনের ছায়া সুনিবিড় প্রশান্তির ইঙ্গিত নিয়ে আসে। এই ঐতিহ্যকে আধুনিকতার গ্রাস থেকে রক্ষার কথা ভেবেছেন ড. মুখোপাধ্যায়। তার প্রস্তাব ছিল, “we do not want large buildings there’. তিনি এইভাবে বিশ্বভারতীর স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় পূর্ণাঙ্গ রবীন্দ্রতীর্থ হিসাবে প্রতিষ্ঠার যে প্রস্তাব রেখেছিলেন তা আজও প্রাসঙ্গিক। আমরা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে জানি। কিন্তু তাঁর শিক্ষাদর্শের পূর্ণাঙ্গ চিত্রটি আজও আমাদের কাছে অনাবিষ্কৃত। বাঙ্গালি অকৃতজ্ঞ বিস্মরণশীল না হলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের শিক্ষাদর্শ আরও আলোকিত হতো। তাতে আলোকিত হতাম আমরাই।
ড. অচিন্ত্য বিশ্বাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.