১৯৯০ সালের পর ২০১৯। ফের সংঘর্ষ বাধল উপত্যকার দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে। দফায় দফায় ঝামেলায় তেতে উঠল অনন্তনাগ ও লাগোয়া এলাকা। সেনা সূত্রে খবর, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক জঙ্গি। জখম আরও এক।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গির নাম আদিল দাস। এক সময় লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্য ছিল আদিল। পরে যোগ দেয় ইসলামিক স্টেটে। উপত্যকার আইএস-এর সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠে সে। জখম জঙ্গির নাম আরিফ হুসেন ভাট। গোয়েন্দাদের ধারণা, উপত্যকার হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য সে। যদিও আরিফ কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত, সেটা এখনও সঠিক জানা যায়নি।
ডেপুটি পুলিশ ইনস্পেকটর জেনারেল অতুল কুমার গোয়েলের কথায়, “প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, জম্মু-কাশ্মীরের হিজবুল গোষ্ঠী ও আইএস-এর মধ্যে ঝামেলা চলছে। আদর্শগত পার্থক্যের জন্য আগেও অশান্তি বেধেছিল এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে।”
গোয়েল জানিয়েছেন, অনন্তনাগের বিজবেহারা এলাকায় গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে। তাতেই খতম হয় আইএস-এর আদিল। জখম হয় আরিফ। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার হয়েছে আরিফকে।
১৯৯০ সালে হিজবুল ও জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের মধ্যে একাধিক বার ঝামেলা বেধেছিল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছে, উপত্যকায় একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে ইসলামিক স্টেট। গত মাসে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে উপত্যকার জঙ্গি জাকির মুসার মৃত্যুর বদলা নিতে এমনিতেই নতুন করে নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা। দীর্ঘদিন ধরে উপত্যকায় নাশকতামূলক কাজকর্মে যুক্ত ছিল জাকির মুসা। ২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর কাশ্মীরে হিজবুল মুজাহিদিনের দায়িত্বে আসে সে। তবে ২০১৭ সালের মে মাসে হিজবুল ছেড়ে বেরিয়ে আল কায়দার আদর্শে অনুপ্রাণিত জঙ্গি সংগঠন আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের নেতৃত্বে আসে জাকির। গত মাসে কাশ্মীরের ত্রালে সেনা অভিযানে মৃত্যু হয় তার।মে ও জুন মাসে সেনা অভিযানে উপত্যকার তিন আইএস জঙ্গি খতম হয়েছে।