গত কয়েকদিনে শহরের বিভিন্ন এটিএম থেকে লুঠ প্রায় ২ কোটি টাকা৷ ঘটনার তদন্তে নেমে ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ এর মধ্যে ২ জনকে কলকাতা থেকে এবং বাকি ২ জনকে গুজরাত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুজরাত থেকে ধৃতদের এরাজ্যে আনতে ইতিমধ্যেই ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গুজরাত থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা দুজনেই দিল্লির বাসিন্দা ধৃতদের নাম, মনোজ গুপ্তা এবং নবীন গুপ্তা। অন্যদিকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বিশ্বদীপ রাউত এবং আব্দুল সইফুল মণ্ডলকে।
এটিএম (ATM) ভাঙা হয়নি৷ এমনকি এটিএমের গায়ে একফোঁটা আঁচড় পর্যন্ত নেই৷ অথচ সেই এটিএম থেকে
শহরের বিভিন্ন এটিএম থেকে ২ কোটি টাকা লুঠ করল দুষ্কৃতীরা। একেকটা এটিএম থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত শহরের মোট ৭ এটিএম থেকে টাকা লুঠের ঘটনা সামনে এসেছে। একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএমকেই টার্গেট করেছে জালিয়াতরা। এদিন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও বাইরে থেকে এটিএম পরীক্ষা করে কোনও সূত্র পাইনি। তারা মনে করছেন, অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে এই জালিয়াতি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে (kolkata police) জানা গিয়েছে, গত সাত দিনের মধ্যেই নিউমার্কেটের একটি এটিএম থেকে ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, যাদবপুরের একটি এটিএম থেকে ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও কাশীপুরের একটি এটিএম থেকে ৭ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বেনিয়াপুকুর, বেহালা, ফুলবাগান এবং বৌবাজার এলাকায় এটিএম-এ লুঠ হয়েছে। লুঠ হওয়া এটিএমগুলিতে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন না। শুধু তাই নয়, যে সব এটিএম লুঠ করা হয়েছে সেগুলোর মেশিন পুরনো হয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়ে ৬ মাস আগেই আরবিআই, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।
গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, অত্যন্ত উন্নতমানের সফটওয়্যার গ্যাজেট দিয়ে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের (crime) গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, জালিয়াতরা প্রথমে এটিএময়ের সঙ্গে একটি তার যুক্ত করছে। এরপর সেই তার তাদের নিজেদের কাছে থাকা মেশিনটির সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছে। এর পরেই যত অঙ্কের টাকা সেখানে তোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ঠিক তার বেশি অঙ্কের টাকা এটিএম থেকে অনায়াসেই বেরিয়ে আসছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এমনটাও সম্ভব! তাহলে কী ভাবে লুঠ রোখা যাবে? ইতিমধ্যেই শহরের এটিএম গুলিতে নজরদারি বাড়াতে থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷