দিন কয়েক ধরে প্রচণ্ড দাবদাহের পর অবশেষে রাজ্যবাসীকে স্বস্তি দিয়ে বর্ষা ঢুকল বাংলায়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, রবিবার উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে তা পৌঁছতে আরও দিন পাঁচেক সময় লাগবে। যদিও এর জেরে রবিবার বিকেলে কলকাতার কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ফলে কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমের পর স্বস্তিতে শহরবাসী।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার আগামী ২-৩ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। বিকেল থেকে আগামী ১-২ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির একই পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতার কয়েকটি জায়গা-সহ হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। সেই সঙ্গে ওই এলাকাগুলিতেও ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়া হাওয়ার বইতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সেই সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টিপাতও হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ শহরে ০০২.৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিকেরা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার উত্তরবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকে পড়ায় সেখানে বর্ষার আগমন ঘটেছে। সাধারণত ৭ জুন রাজ্যে বর্ষার আগমন হয়। তবে চলতি বছরে নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্ষা শুরু হল। বঙ্গোপসাগরে আগামী ১১ জুন একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিকেরা। তার জেরে দক্ষিণবঙ্গেও বর্ষার আগমন হবে। প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, মধ্য আরব সাগরের বেশ কিছু এলাকা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরও এগিয়েছে। এর জেরে মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু এলাকা, পুরো কর্নাটক, তামিলনাড়ু-সহ মধ্য ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের কিছু এলাকায় বর্ষা ঢুকে পড়েছে। এ ছাড়া, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতেও রবিবার বর্ষায় আগমন ঘটেছে।