ভোটে পরাজয়ের পর এই প্রথম পর্যালোচনায় বসছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। ওই বৈঠকের পরই বিজেপিতে বড়সড় সাংগঠনিক পরিবর্তন পরিবর্তন হতে পারে। আগামী ৮ জুন এই পর্যালোচনা বৈঠকে বসছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সেই বৈঠকেই সাংগঠনিক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে দলের ভরাডুবি হয়েছে বলে মনে করছে দলের একাংশ। তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে চলছে রীতিমতো দোষারোপের পালা। একপক্ষ আর একপক্ষকে হারের জন্য প্রকাশ্যেই দুষছেন। কিন্তুু পরাজয়ের ময়নাতদন্তের আসল রিপোর্ট হাতে আসেনি রাজ্য বিজেপির। তাই ময়না তদন্ত করে সংগঠনকে আবার চাঙ্গা করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। সেই লক্ষ্যে পরাজয়ের করণ খুঁজতে ৮ জুন পর্যালোচনায় বসছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
গতকালই দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, দলের সংগঠন সম্পাদক বিলএল সন্তোষ সহ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তারপরই আলোচনায় বসছেন রাজ্য নেতারা। দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপির বিভিন্ন মোর্চার নেতৃত্বে বড়সড় রদবদল হতে পারে। মোর্চা ছাড়াও দলের রাজ্য স্তরের অনেক পরিচিত মুখকেও অব্যাহতি দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু জেলা সভাপতি পরিবর্তন হতে পারে। বাদ যাবেন এমন জেলা সভাপতিদের নামের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
রাজ্য বিজেপির এক প্রথম সারির নেতার কথায় আলোচনা না করে কাউকে বাদ দেওয়া যায় না। বিজেপির মতো গণতান্ত্রিক দলে ময়নাতদন্ত না করে ডানা ছাঁটা হয় না। আগামী ৮- জুন আগে পর্যালোচনা হোক, তারপর দোষ ত্রুটি দেখে অব্যাহতি দেওয়ার কথা অবশ্যই ভাববে রাজ্য কমিটি।