বেসরকারি সংস্থায় ভ্যাকসিন বিক্রি কেন? সমালোচনার মুখে সাফাই দিল কেন্দ্র

সরকারের উপর চাপ কমাতেই বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দেওয়ার সিদ্ধান্ত। সমালোচনার মুখে নয়া ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে সাফাই দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়ে দিলেন, টিকা বণ্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। শুধুমাত্র সরকারি টিকাদান কেন্দ্রগুলির চাপ কমাতেই বেসরকারি সংস্থাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

মে মাসের শুরুতেই ভ্যাকসিন বণ্টনে নয়া নীতি নিয়েছে কেন্দ্র। নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ৪৫ বছরের কম বয়সি নাগরিকদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্র নেবে না। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার দায়িত্ব হয় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে, নাহয় যারা যারা টাকা দিয়ে টিকা কিনতে ইচ্ছুক তারা বেসরকারি সংস্থা থেকেও টিকা পাবে। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি মোট উৎপাদিত ভ্যাকসিনের অর্ধেক দেবে কেন্দ্র সরকারকে। বাকি অর্ধেক রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি সরাসরি কিনতে পারবে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীদের কাছ থেকে। এই নীতি অনুযায়ী দেখা যায়, দেশে তৈরি হওয়া টিকার ২৫ শতাংশই সরাসরি চলে যাচ্ছে বেসরকারি হাতে। আর নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় মেতে বেসরকারি সংস্থাগুলিও অনেক বেশি দামে টিকা কিনছে। যার ফলে সাধারণ মানুষকে বেসরকারি সংস্থার থেকে চড়া দামে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। আবার রাজ্য সরকারগুলিও টিকা বণ্টনের কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম না থাকায় ভ্যাকসিন কিনতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় মেতেছে।

[আরও পড়ুন: করোনা কালে জনসেবায় কী কী করেছে দল? রিপোর্ট নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি]
চূড়ান্ত অব্যবস্থা তৈরি হতেই কেন্দ্রের ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) নীতির সমালোচনা শুরু হয়েছিল। অভিযোগ উঠছিল, বেসরকারি সংস্থাকে টিকা দেওয়া সংক্রান্ত সরকারের এই নীতি সরকারি ক্ষেত্রে টিকাকরণকে প্রভাবিত করছে। এর জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, “বেসরকারি ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ টিকা গেলে দেশবাসীর টিকাকরণের সম্ভাবনা আরও বাড়বে। এর ফলে সরকারি ক্ষেত্রে টিকাকরণের উপর চাপ যেমন কমবে, তেমনই যারা টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন কিনতে চান, তাঁরাও সহজে বেসরকারি সংস্থার থেকে টিকা পাবেন।” কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan) শনিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “টিকাদানের ক্ষেত্রে যে বৈষম্যের অভিযোগ উঠছে তা ভিত্তিহীন। পুরোপুরি নিয়ম মেনেই দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ১.২ কোটি ভ্যাকসিন মে মাসে দেওয়া হয়েছে। “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.