ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন (Covaxin) এবার পাড়ি দেবে বিদেশে। ব্রাজিলের কাছ থেকে বরাত পেয়েছে সংস্থাটি। ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য সার্ভিল্যান্স এজেন্সি (The National Health Surveillance Agency of Brazil) আনভিসা (Anvisa) এর আগে কোভ্যাক্সিনের আমদানি অস্বীকার করেছিল। তাদের অভিযোগ ছিল ভারত আবিষ্কৃত এই টিকা গুড ম্যানুফ্যাকটারিং প্র্যাকটিসের (GMP) শর্ত পূরণ করে না। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক রাশিয়ার স্পুটনিক ভি (Sputnik V) ভ্যাকসিনকেও সে দেশে আমদানির ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে।
আনভিসার অনুমোদন অনুযায়ী ব্রাজিল প্রাথমিকভাবে কোভ্যাক্সিনের চার মিলিয়ন ডোজ গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেগুলি ব্যবহার করার পর এজেন্সি তার তথ্য বিশ্লেষণ করবে। তারপর পরবর্তী আমদানির জন্য বরাত দেবে। পর্তুগিজে (Portuguese) একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আনভিসা এই শুক্রবার নিয়ন্ত্রিতভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে কোভাক্সিনের ব্যতিক্রমী আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদন অনুসারে ৪ মিলিয়ন ডোজ আমদানি করবে তারা। এগুলি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট শর্তে ব্যবহার করা যাবে। ব্রাজিলের জন্য নির্ধারিত ভ্যাকসিনগুলি কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক কর্তৃক জিএমপিতে নজরে রেখেই তৈরি করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারত বায়োটেক লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল তারা ব্রাজিলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। কোভাক্সিনের ২০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করবে তারা।
গত মাসে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে করোনা ভাইরাসের E484K মিউটেশনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। এটি ব্রাজিলের ভ্য়ারিয়েন্টের সঙ্গে যুক্ত। মনে করা হচ্ছিল এই মিউটেশনের বিরুদ্ধেও কাজ করবে কোভ্যাক্সিন। এর আগে ব্রিটেনের ভ্যারিয়েন্ট B.1.1.7 এবং ভারতের ডাবল মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্ট B.1.617 এর বিরুদ্ধেও লড়তে পারে কোভ্যাক্সিন এমন দাবি উঠেছিল। সমীক্ষা এও দেখিয়েছিল করোনা ভাইরাসের একাধিক ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে এই টিকা। ভারতে এখন তিনটি করোনা ভ্যাকসিন রয়েছে। কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন ও স্পুটনিক ভি। করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রস্তুতির উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার দিতে নজর দিতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)।