নতুন আইটি বিধি (New IT Rule) মেনে চলার জন্য আজ শনিবার টুইটারকে (Twitter) চূড়ান্ত নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Centre Govt)। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে পাঠানো ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নয়া বিধির অধীনে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসারের বিবরণ সম্পর্কে টুইটার কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত দেয়নি। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে জিম বাকেরকে (Jim Baker)। যিনি ২০২০ সালেই টুইটারের ডেপুটি জেনারেল পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। উল্লেখ্য, ওই চিঠিতে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘নয়া এই আইটি বিধি ভারতে লাগু হয়েছে গত মাসের ২৬ তারিখে। তদুপরি টুইটার এখনও পর্যন্ত তা মেনে চলতে অস্বীকার করছে’। এরপরই কিছুটা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, ‘এর জন্য আইন অনুযায়ী টুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে’।
সামাজিক মাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় রাশ টানতে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মাসে একটি নির্দেশিকা জারি করে ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। তাতে ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টার মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়। আর সেই নির্দেশকা লাগু করার জন্য ২৬ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
সামাজিক মাধ্যমের অপপ্রয়োগ রুখতে এই নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র। সেটি না মানলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া অ্যাকশন নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ (ravi shankar prasad) । গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জারি হওয়া এই গাইডলাইনে সামাজিক মাধ্যমের কন্টেন্টে রাশ টানতে বলা হয়েছিল OTT প্ল্যাটফর্ম গুলির জন্য ত্রিস্তরীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই অভিযোগ নিরসন প্রক্রিয়া থাকার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র (IT Ministry)। যেখানে একজন ভারতীয় মুখ্য আধিকারিক নিয়োগ থাকবে। তিনি কোনও অভিযোগ পেলেই সেটির নিষ্পত্তি করবেন।
এমনকি চ্যাট শো, ওয়েব সিরিজ এবং তথ্য চিত্রও এই নয়া নিয়মের গেরোয় আসবে বলেও জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। এই নতুন গাইডলাইন অনুসারে প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তৈরি করতে হবে একটি অভিযোগ জানানোর বিভাগ। সেখানে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জমা পড়া অভিযোগের নিষ্পত্তি ৭২ ঘন্টার এবং আপত্তিজনক কন্টেন্টে রিপোর্ট মিললে একদিনের মধ্যে করতে হবে। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে Fake News পরিবেশিত হলে, সেই ফেক নিউজের সূত্র, অর্থাৎ কে সেটি প্রথম পোস্ট করেছেন, তার পরিচয় প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।