করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Corona 2nd wave) আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। বেসামাল দেশের অর্থব্যবস্থা। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে এবছরও রেপো রেট (Repo Rate)এবং রিভার্স রেপো রেট (Reverse Repo Rate) একই রাখার সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)। এমনকি শীর্ষ ব্যাঙ্ক চলতি বছরের জন্য পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে ৯.৫ শতাংশ। আগে চলতি বছরে ১০.৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল আরবিআই। অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কমানোর পরের দিনই নীতি আয়োগের (Niti Ayog)ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার (Rajiv Kumar) শনিবার জানান, ২০২১ এর জুন থেকে আবার ঘুরে দাঁড়াবে ভারতের অর্থনীতি (Indian Economy)। জুলাই থেকে অর্থনীতিতে গতি আসবে বলে তিনি দাবি করেছেন।
নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান এদিন বলেন, করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) প্রভাবের কারণে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমিয়ে ৯.৫ শতাংশ করা হয়েছে। যা অর্থবর্ষের প্রথম কোয়ার্টারে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। প্রথম কোয়ার্টারের পর থেকে ভারতের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। এবং ভারতের অর্থনীতি তারপরে ১০ থেকে ১০.৫০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে।
কয়েক সপ্তাহ যাবৎ দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সে প্রসঙ্গে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার বলেন, “পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কেন্দ্রের অবশ্যই কিছু করা উচিত, তবে আমাদের ভারসাম্যও দরকার। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সরকারেরও দায়িত্ব আছে, আমি আশা করি যারা এই দায়িত্বে আছেন তারা এই ভারসাম্য বজায় রাখবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ (Shkatikanta Das) বলেন, অতিমারির ধাক্কায় গত অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে ৭.৩ শতাংশ। মহামারীর প্রবল ধাক্কা সত্ত্বেও কৃষি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি অব্যাহত। ভালো বর্ষা হলে তবেই অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন সম্ভব। তিনি আরোও বলেন, যে যতক্ষণ না কোভিডের প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে ততক্ষণ কেবল সমবায়িক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় থাকবে। তিনি আরোও বলেন যে বিশ্ব বাজারে ভারতের ব্যবসা বাড়লে তবেই উন্নতি হবে।