বিজেপির এগিয়ে থাকা বুথগুলিতে সরকারি পরিষেবা দিলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে

বিজেপির এগিয়ে থাকা বুথগুলিতে সরকারি পরিষেবা দিলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। শুক্রবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিয়েছেন ঘাটালের মনসুকা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পুতুল পাত্র। এবার পাল্টা দিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারি। প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে বললেন, ‘ঘাটাল থেকে গুজরাটে গেলে তৃণমূলের লোকজনকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে’।

দীর্ঘদিন পর ঘাটাল বিধানসভা হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। একুশের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। দু’ বারের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে পরাজিত করেছেন শীতল কপাট। এরপরই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে পুতুলের দাবি, শঙ্কর দোলুই-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা বিজেপির এলাকায় পরিষেবা বন্ধের জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছেন।

এরই পাল্টা দেন অভিষেক। খড়গপুরে সাংবাদিকদের সামনে শুভেন্দু বলেন, ‘এই দেশটা কিন্তু চালাচ্ছে দল। ১৪টা রাজ্যে বিজেপির সরকার আছে। এ জিনিস চলতে থাকলে শঙ্কর দোলুইয়ের হয়ে যাঁরা ভোট করেছেন, গুজরাত-উত্তর প্রদেশে যাঁরা কাজ করছেন, সেখানে গিয়ে আমরা বলব ঘাটাল থেকে বিজেপির শীতল কপাটের চিঠি নিয়ে আসতে। সুরাটে শঙ্কর দোলুইয়ের বহু সমর্থক কিন্তু কাজ করেন। এটা যেন শঙ্কর দলুইদের মাথায় থাকে’।

এ প্রসঙ্গে শঙ্কর দোলুইয়ের মন্তব্য, ‘শুভেন্দুবাবুর ভুললে চলবে না তিনি নিজে বাঙালি। আমার মনে হয় উনি বাঙালি হয়েও বাঙালি বিদ্বেষী হয়ে যাচ্ছেন। বাঙালিকে ঘৃণা করছেন। যে বাংলায় তাম্রলিপ্ত সরকারের ইতিহাস আছে, সে বাংলা ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদীজীকে এবং অমিত শাহজীকে শিক্ষা দিয়েছে। এখানকার ঐতিহ্য আলাদা’। অবশ্য বাঙালি থাকা সত্ত্বেও কেন ওই সমস্ত বুথে পরিষেবা বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হল, সেই নিয়ে কিছু বলেননি শঙ্কর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.