অতিমারীর জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইনেই চলছে লেখাপড়া। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নতুন করে অনিশ্চয়তার ফাঁদে পড়েছে। কবে পড়ুয়াদের জন্য খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা, তা বলা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে এই মারণ ভাইরাসের দাপট রুখতে পড়ুয়াদের জন্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, পড়ুয়া, গবেষক-সহ ৪৫ বছরের নিচে সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং আধিকারিকদের ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দেওয়ার কাজ দ্রুত শুরু হবে।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কলকাতাই (University of Calcutta) প্রথম পড়ুয়াদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এখবর নিশ্চিত করে জানান, যত দ্রুত সম্ভব, পড়ুয়া, গবেষক থেকে ৪৫ বছরের কমবয়সি শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৫-এর ঊর্ধ্বে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের টিকাকরণের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সেই লক্ষ্যপূরণ সফলভাবেই পূরণ করা গিয়েছে। এবার পড়ুয়াদের করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষাই উদ্দেশ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পড়ুয়ারা। করোনা ভ্যাকসিন নিতে সাম্প্রতিক অতীতে অনেককেই বহু কাঠখড় পুড়োতে হয়েছে। কিন্তু সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় বিনামূল্য টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। টিকা নিয়ে নিলে অদূর ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে এসেই ক্লাস করা যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা।
উল্লেখ্য, করোনার (Corona Virus) চোখ রাঙানির আতঙ্কে টিকাকরণের দাবিতে সুর চড়িয়েছিল ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা। সেই দাবিতে সাড়া দিয়ে শনিবার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে ১৮ ঊর্ধ্ব পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হল। টিকা পাবে প্রায় ১২০ জন পড়ুয়া। উচ্চশিক্ষার জন্য অনেককেই বাইরে বেরতে যেতে হবে। তাই ১৮ ঊর্ধ্ব ছাত্রছাত্রীদের টিকাকরণ হয়ে গেলে অনেকটাই স্বস্তি মিলবে।