এবার খাস কলকাতায় মিড ডে মিল নিয়ে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল।
কলকাতার বহু স্কুলেই মিড ডে মিলের রান্না হয় না। তার জন্য বিভিন্ন এনজিও বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দেওয়া থাকে। অভিযোগ, সেই সব গোষ্ঠীকে অগ্রিম টাকা দেওয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এছাড়াও পড়ুয়াদের সংখ্যার তুলনায় চাল কেনার হিসাবেও ব্যালেন্স শিটে গরমিল আছে বলে অভিযোগ।
স্কুল শিক্ষা কমিশনের কাছে এই দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন দেবাশিস দত্ত নামের এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নেতৃত্বে এই দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। যার বিরুদ্ধে দেবাশিস আঙুল তুলেছেন তিনি নিখোঁজ বলে জানা গেছে। তবে অনেকে বলছেন, একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের পক্ষে এতবড় দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। এর পিছনে দপ্তরের একটা বড় অংশের যোগ রয়েছে।
যদিও কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কলকাতা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ তথা সর্বশিক্ষা মিশনের চেয়ারম্যান এবং মিড ডে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক কার্তিক মান্না বলেন, ‘অগ্রিমের টাকা গত মাসেই অ্যাডজাস্ট করা হয়েছে। হিসেব পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে’। অভিযোগকারীর দাবি। ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বিশেষ অডিট করালেই দুর্নীতির বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। অগ্রিম টাকা দেওয়ার রেজিস্টার এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন তিনি।