এ যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝখানে দিন দু’য়ের বিরতি, ফের মূল্যবৃদ্ধি, আবার দু’দিনের বিরতি। এই ‘রুটিন’ মেনেই শুক্রবার ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম। এই নিয়ে চলতি মাসে দ্বিতীয়বার। মে মাসের শুরু থেকে ১৯ বার। সব মিলিয়ে মে মাসের পর থেকে ডিজেলের দাম বেড়েছে ৪ টাকা ৯৩ পয়সা। আর পেট্রলের (Petrol) দাম বেড়েছে ৪ টাকা ৩৬ পয়সা। একদিকে করোনায় (Coronavirus) মৃত্যুমিছিল। অন্যদিকে কাজ হারিয়ে পেটের টান। দেশের আমজনতা যখন অর্থনৈতিকভাবে খাদের কিনারে, তখনই জ্বালানির এই মূল্যবৃদ্ধি যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘা। অথচ সরকার নির্বিকার। প্রতিবাদ নেই বিরোধী শিবির থেকেও।
মুম্বইয়ের মতো মহানগরে পেট্রলের দাম সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। কলকাতা-সহ দেশের অন্য বড় শহরগুলিতেও রেকর্ড গড়ছে জ্বালানি। শুক্রবার নতুন করে পেট্রলে লিটারপ্রতি দাম বেড়েছে ২৭ পয়সা। আর ডিজেলে দাম বেড়েছে ২৮ পয়সা। ফলে মুম্বইয়ে পেট্রলের নতুন দাম লিটারপ্রতি ১০০ টাকা ৯৮ পয়সা। ডিজেল বিকোচ্ছে ৯২ টাকা ৯৯ পয়সা প্রতি লিটার দরে। রাজধানী দিল্লিতে পেট্রল ও ডিজেলের নতুন দাম যথাক্রমে ৯৪ টাকা ৭৬ পয়সা ও ৮৫ টাকা ৬৬ পয়সা প্রতি লিটার। শহর কলকাতায় (Kolkata) নয়া রেকর্ড গড়ে শুক্রবার পেট্রলের দাম ৯৪ টাকা ৭৬ পয়সা। ডিজেলের দাম ৮৮ টাকা ৫১ পয়সা। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ৯৬ টাকা ৯২ পয়সা প্রতি লিটার। ডিজেলের (Diesel) দাম ৯০ টাকা ৩৮ পয়সা প্রতি লিটার। দেশের বেশ কয়েকটি শহরে এই মুহূর্তে সেঞ্চুরির উপরে বিকোচ্ছে পেট্রল।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের উপর আলাদা আলাদাভাবে শুল্ক বসায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি কেন্দ্রের বসানো অন্তঃশুল্ক ও কর। করোনার প্রথম ধাক্কা আসার পরপরই কেন্দ্র জ্বালানি তেলের উপর অন্তঃশুল্ক অনেকটা বাড়িয়েছিল। যা পরে আর কমানো হয়নি। বরং কিছু কিছু রাজ্য সরকার নিজেদের মতো পদক্ষেপ করেছে জ্বালানির দাম কমানোর জন্য। কিন্তু তাতে কাজের কাজ খুব একটা হয়নি। অথচ, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের এই ভূমিকার বিরুদ্ধে সেভাবে সরব হতে দেখা যাচ্ছে না বিরোধীদেরও।