বেশ বিপাকে নীরব মোদী৷ সুইস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নীরব মোদী ও তার বোন পূরবী মোদীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে৷ ইডির অনুরোধ মেনেই এই সিদ্ধান্ত সুইস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের৷ পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রতারণায় অভিযুক্ত নীরব মোদীর সুইস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৮৩. ১৬ কোটি টাকা রয়েছে বলে খবর৷
সুইজারল্যাণ্ডে মোট চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে নীরব ও তার বোনের৷ এই চারটি অ্যাকাউন্টই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ এর আগে ইডির পক্ষ থেকে সুইস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় নীরব মোদীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে টাকা রয়েছে তা অবৈধ ও আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন৷ ভারতীয় ব্যাঙ্ক থেকে জালিয়াতি করে ওই টাকা নিজের নামে করেছে নীরব মোদী৷ এই মর্মে বেশ কিছু তথ্য ও নথিও জমা দিয়েছে ইডি৷
তারপরেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর৷ নীরব মোদী এবছরের শুরুর দিকে গ্রেফতার হয় লন্ডনে। লন্ডনের আদালতে নীরবের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ মার্চ লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নীরব মোদীর জামিন নাকচ করে দিয়েছিল৷ নীরব মামলার শুনানির জন্য এর আগে লন্ডনে গিয়েছিল ইডি ও সিবিআইয়ের একটি দল। এর আগে শুনানি পর্বে আদালতে নীরব মোদীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেল ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন। ব্রিটেনে স্বাধীন ভাবে বসবাস করেছেন এবং আত্মগোপনের চেষ্টা করেননি।
তবে জুন মাসের ১২ তারিখে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত নীরব মোদীর জামিনের আবেদন খারিজ করে ব্রিটেন হাইকোর্ট৷ এক রায়ে এই সিদ্ধান্তের কথা শোনার বিচারক৷ লণ্ডনের রয়্যাল কোর্টস অফ জাস্টিস জানিয়ে দিয়েছে, জামিনের আবেদন যুক্তিগ্রাহ্য নয়৷ ফলে তা মঞ্জুর করা সম্ভব নয়৷ এই নিয়ে চতুর্থবার জামিনের আবেদন খারিজ হয় নীরব মোদীর৷ এরআগে, তিন বার মোদীর জামিনের আবেদন খারিজ করে লণ্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার কোর্ট৷
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের শেষের দিকে জামিন নাকচ হয়ে যায় নীরব মোদীর৷ এদিন লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামিন নাকচ করায় ২৪ মে পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হয় নীরব মোদীকে৷ জানা গিয়েছে নীরব মোদীর আইনজীবী এদিন আদালতে তেমন কোনও নথি জমা দিতে ব্যর্থ হন৷ ফলে জামিন নাকচ হয়ে যায় অভিযুক্তের৷ নীরব মোদীর প্রত্যপর্ণের দাবি জানিয়েছে ভারত৷ ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিকেও প্রত্যপর্ণের জন্য প্রয়োজনীয় আরও বেশ কয়েকটি নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন৷