অবশেষে কাটতে চলেছে টিকার (Corona Vaccine) সংকট! কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে তারা টিকাকরণ শেষ করতে চায়। আবার জুলাই থেকেই দৈনিক এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এত ভ্যাকসিন আসবে কোথা থেকে? এবার মিলল সেই প্রশ্নের উত্তর। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বাজারে আসছে সম্পূর্ণ ভারতের প্রযুক্তিতে তৈরি করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন। যা তৈরি করছে হায়দরাবাদের সংস্থা ‘বায়োলজিক্যাল ই’ (Biological-E)। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই এই সংস্থার তৈরি টিকার ৩০ কোটি ডোজ বুক করে ফেলেছে। সেজন্য দেওয়া হয়েছে অগ্রিমও।
বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, “কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক হায়দরাবাদের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই-র সঙ্গে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি পাকা করেছে। এই ভ্যাকসিনগুলি আগামী আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত করে সরকারের হাতে তুলে দেবে বায়োলজিক্যাল ই নামের সংস্থাটি। স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Ministry of Health) অগ্রিম বাবদ সংস্থাটিকে দেড় হাজার কোটি টাকা দেবে।” কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বায়োলজিক্যাল ই-র তৈরি ভ্যাকসিনের এখন তৃতীয় দফার ট্রায়াল চলছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালের ফলাফল বেশ সন্তোষজনক। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (DCGI) চূড়ান্ত ছাড়পত্র মিললে ডিসেম্বর মাসে টিকার উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে একটি মাত্র করোনার টিকা। সেটি হল ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) কোভ্যাকসিন। পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট দেশের মাটিতে কোভিশিল্ডের টিকা তৈরি করলেও, তারা ব্যবহার করে অক্সফোর্ডের তৈরি ফর্মুলা। কোভ্যাকসিন (Covaxine) এবং কোভিশিল্ড ছাড়াও দেশের মাটিতে ছাড়পত্র পেয়েছে রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি (Sputnik V)। আগামী দিনে ফাইজার এবং মডার্নাও ছাড়পত্র পেতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। তবে, কেন্দ্র এই বিদেশি ভ্যাকসিন না কিনে ভরসা রাখছে বায়োলজিক্যাল ই-র উপরই।