ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের পরে দেশের তৈরি দ্বিতীয় টিকা খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে বাজারে। হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়েলজিক্যাল ই-র সঙ্গে চুক্তি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিন এখনও তৃতীয় পর্বের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে আছে। সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট সন্তোষজনক হলেই টিকায় ছাড় মিলবে। তার আগেই ৩০ কোটি ডোজের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা সংস্থাকে অগ্রিম দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, অগস্ট থেকে ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করে দেবে বায়োলজিক্যাল ই। ডিসেম্বরের মধ্যে টিকার ৩০ কোটি ডোজ চলে আসতে পারে দেশের বাজারে।
Rupnagar
১৯৫৩ সালে হায়দরাবাদে তৈরি হয়েছিল এই বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। দেশের সবচেয়ে পুরনো বেসরকারি বায়োলজি ফার্মগুলির একটি। বিশ্বের বাজারে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে দেশের এই সংস্থা। কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করা শুরু করেছে গত বছর মার্চ মাস থেকেই। রিকম্বিন্যান্ট প্রোটিন দিয়ে ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করেছে বায়োলজিক্যাল ই।
ভারত বায়োটেকের পাশাপাশি বায়োলজিক্যাল ই-র তৈরি ভ্যাকসিনেও শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নিজেদের ফর্মুলায় তৈরি করোনার ভ্যাকসিনের পাশাপাশি জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গেও যৌথ উদ্যোগে ভ্যাকসিন তৈরি করছে এই সংস্থা।
বায়োলজিক্যাল ই মহিলা পরিচালিত কোম্পানি। এই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মহিমা দাতলা। দেশের ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থাগুলির মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে এই সংস্থার নাম। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কোয়াডের মঞ্চে এই সংস্থাকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। ভারতে ভ্যাকসিন হাব তৈরির জন্য আর্থিক প্যাকেজ দেবে কোয়াডের দেশগুলি। আমেরিকার পাশাপাশি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি, জাপান ব্যাঙ্ক অব ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনও এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে। সেখানে ভারতের কোম্পানিগুলির মধ্যে বায়োলজিক্যাল ই-কে বেছে নেওয়া হয়েছে।