প্রোটোকলের বাইরে যাওয়াটা আজকে ডাক্তারের পক্ষে অসম্ভব। তারপর আছে বেঁধে দেওয়া টার্গেট ফুলফিলমেন্টের চাপ। একজন মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ালে চেম্বার ছেড়েদিতে হবে, কিস্যু এসে যাবেনা। পেছনে দশজন লাইনে আছে সুতরাং উপায় সত্যিই নেই। আগে কিন্তু সারাভারতে প্রচলিত ওষুধেও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হত সিস্টেম্যাটিক ওয়েতে।বৈদ্য পুরো ডেটা রিজিওনাল বৈদ্যকে দেবে।রিজিওনাল বৈদ্যের অফিসে সেই ডেটা সিস্টেম্যাটিক ফর্মে উঠবে, কন রোগেরকতগুলো রুগী, কোন ওষুধ কজন সুস্থ হল। সেগুলো যাবে রাজবৈদ্যের অফিসে। সেখানে তার এসিস্ট্যান্টরা ফাইনাল ট্রায়াল ডেটা করবে ছয়মাসের হিসেব।ছয়মাসের কালেকটেড ডেটা বাকি ছয়মাসে ফাইনাল প্রেডিকশন করেদেবে।প্রাচীন ভারতীয় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রোটোকল । তখনো কিন্তু জীবকের ইচ্ছা হল আর দিয়ে দিল লতাপাতা বেটে ওরকম হতোনা।
এযুগে ঐ ওষুধ কোম্পানি যা বলেছে ওটাই ফাইনাল। ব্যবহৃত ওষুধের ট্রায়াল কি হয়? হলেও সার্বিক ডেটা নয়, একটা পরিকল্পিত ট্রায়াল মাত্র। একটা ওয়েবসিস্টেম তো করাই যায়, সারা ভারতের সমস্ত ওষুধের রোগীর এবং ট্রিটমেন্ট প্রোটোকলের ডেটা রেকর্ড করবে। তাহলেই কিন্তু পরিষ্কার হয়ে যাবে কোন প্রোটোকল কতো কার্যকর। সুতরাং করবেনা…. কারণ বেরিয়ে যাবে যে, প্রতি বছরে চল্লিশহাজার খরচ করেও এলোপ্যাথীতে ডায়াবেটিস সারেনা , কিন্তু আয়ূর্বেদিক পদ্ধতিতে পারে। পারে যে নিজের বাড়িতেই দেখছি। বেরিয়ে যাবে যে মাসে সতেরশ খরচ দেড়বছরে ফ্যাটিলিভার সারেনা, মাসে দেড়হাজার খরচ একবছরে মাইগ্রেন একটুও সারেনা। প্রমাণিত হয়ে যাবে পারনাইট পঞ্চাশ হাজার নিয়ে যে কোভিডের ট্রিটমেন্ট চলছে কোভিড সারানোর ওষুধ ওদের কাছে নেই ( ,এক যদি ডিআরডিওর ওষুধটা কাজ করে) ওদিকেফলমূল লেবু আদা মধু হলুদ ব্যবহারে যদি কোভিড তিনদিনে কমে আর ডাক্তারের প্রোটোকলে শেষপর্যন্ত ভেন্টিলেটর আইসিইড ঘুরে মরে যেতে হয় তাহলে তো বড়োই লজ্জার ব্যাপার। তাহলে রেভিনিউ কোথা থেকে আসবে। মাঝখান থেকে রামদেব বলে বসল তোমাদের যে ফ্যাটিলিভারের এতো এতো টেস্ট ওষুধ ট্রিটমেন্ট এতো খরচসাপেক্ষ প্রোটোকল, তা তোমরা কি সারাতে পারো? বড়ো বেফাঁস প্রশ্ন।
অভিযান পাড়ুই