পশ্চিমবঙ্গে এবার নির্বাচন পরবর্তী হিংসার (Post-poll violence ) সুরাহা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন ৬০০-রও বেশি শিক্ষাবিদ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ও উপাচার্যরাও। দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে তাঁরা লিখিতভাবে পশ্চিমবঙ্গে এবার নির্বাচন পরবর্তী হিংসার তদন্ত চেয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (Special Investigation Team) বা SIT টিম গঠন করার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন যে বাঙালি সম্প্রদায় বর্তমানে ভয়ে ভয়ে বাস করছে।
সাম্প্রতিকতম বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল তাঁরা এর শিকার হচ্ছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলার শাসকদলের সমর্থিত গুন্ডাদের হামলা বা হামলার আশঙ্কায় হাজার হাজার মানুষ পার্শ্ববর্তী আসাম, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে চলে গিয়েছেন। গোটা ঘটনার তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission বা NHRC) মতো স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের দাবী জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছেও এই বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত নোটিস জারি করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনা তদন্তের জন্য SIT গঠনেরও আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। শিক্ষাবিদরা এরপর আরও বলেছেন যে এই ধরনের হিংসার ঘটনা সংবিধানের মর্যাদা হানি ঘটায়। এগুলি একেবারই সহ্য করা উচিত নয়।
২ মে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়। তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় হিংসার আবহ। বিজেপি অভিযোগ জানায়, ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাদের দলের কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। তাদের কর্মীদের খুন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলে বিজেপি। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দাবি নস্যাৎ করে দেন। মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন যে তৃণমূল তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তাদের ৩৭ জন দলীয় কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। গত ৫ বছরে ১৬৬ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। এছাড়া বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ৩০ হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেন জানান দিলীপ ঘোষ। উত্তর প্রদেশ বিজেপির সঙ্গে ভার্চুয়ালি একটি বৈঠকে এই অভিযোগ তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।