অষ্টাদশীর ছোঁয়ায় ফরাসি ওপেনের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছেন প্রাক্তন বিজয়ী গারবাইন মুগুরুজা। যাঁর কাছে হারলেন, সেই ১৮ বছরের টেনিস সুন্দরী ক্রমতালিকায় ৮১ নম্বরে। প্রথম বার প্রথম ২০-র মধ্যে থাকা কোনও খেলোয়াড়কে পরাজিত করেছেন মার্টা কস্টিউক।
ইউক্রেনের এই তন্বীর রক্তে যদিও টেনিস খেলাটা রয়েছে। মা টেলিনা বেইকোর স্বপ্নপূরণ করতেই যেন হাতে র্যাকেট তুলে নিয়েছেন কস্টিউক। বেইকো কোনও দিন গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারেননি। মেয়ের মধ্যে সেই স্বপ্নের বীজ যেন পুঁতে দিয়েছেন তিনি।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে ২০১৮-১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার সুযোগ পান কস্টিউক। ২০০২ সালে জন্ম নেওয়া তিনিই প্রথম টেনিস খেলোয়াড়, যিনি গ্র্যান্ড স্লামে খেলার সুযোগ করে নিয়েছিলেন। প্রথম পর্বে হারিয়ে দিয়েছিলেন চিনের পেং শুয়াইকে। মার্টিনা হিঙ্গিসের পর কস্টিউকই প্রথম টেনিস খেলোয়াড়, যিনি এত কম বয়সে গ্র্যান্ড স্লামের মূল ড্রয়ে ম্যাচ জিতেছিলেন। দ্বিতীয় পর্বে অস্ট্রেলিয়ার অলিভিয়া রোগোস্কাকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দেন তিনি। সব চেয়ে কম বয়সে গ্র্যান্ড স্লামের তৃতীয় পর্বে প্রবেশ করেন কস্টিউক। তবে সেখানেই থামতে হয় চার নম্বর বাছাই স্বদেশীয় এলিনা স্ভিতোলিনার কাছে হেরে।
গত বছর ইউএস ওপেনেও তৃতীয় পর্বে পৌঁছে ছিলেন কস্টিউক। এই বছর অস্ট্রেলিয়া ওপেনে যদিও প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল তাঁকে। মায়ের প্রশিক্ষণেই বেড়ে উঠছেন কস্টিউক। ৫ বছর বয়সে টেনিস খেলা শুরু করেন তিনি। বলেছিলেন, “টেনিস খেলা শুরু করে বুঝেছিলাম যে মা টেনিস কোর্টেই বেশি সময় কাটায়। মাকে কাছে পেতে হলে আমাকে টেনিস খেলতেই হবে। মায়ের সঙ্গে সঙ্গে থাকার জন্যই টেনিস খেলা। সেটাই অনুপ্রেরণা দিত আমায়।”
জুনিয়র টেনিসে ক্রমতালিয় দ্বিতীয় স্থানে উঠেছিলেন তিনি। সোমবার প্রাক্তন ফরাসি ওপেন ও উইম্বলডন বিজয়ী মুগুরুজাকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে বেশ কিছুটা আত্মবিশ্বাস পেলেন কস্টিউক। সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে পরের পর্বে জিততে পারেন কি না, সেই দিকেই নজর থাকবে টেনিস মহলের।