দিল্লির পথে হেঁটে আনলকের দিকে এগোচ্ছে বাংলাও৷ সোমবার রাজ্যে কার্যত লকডাউনে (Lockdown) খুচরো দোকানকে আংশিক ছাড় দেওয়ার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন তিনি জানান, বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত খুচরো দোকানগুলি খোলা রাখতে পারবে৷ সেইসঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে। টিকাকরণের পর নির্মাণ শিল্পের কর্মীদের কাজে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে দোকান, বাজার। বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত শাড়ি এবং গয়নার দোকান খোলা রাখতে বলা হয়েছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা।
করোনা সংক্রমণের (coronavirus) শৃঙ্খল ভাঙতেই লকডাউনের (Lockdown) মেয়াদ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বাংলায় কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকবে। ইতিপূর্বে ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। এবার সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বেশ কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তবে ছাড় দেওয়া হল পাটশিল্প এবং নির্মাণ শিল্পের ক্ষেত্রে।
তবে রাজ্যে লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর করোনা সংক্রমণে আরও লাগাম পড়েছে৷ গত একসপ্তাহে অনেকটাই করেছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ লকডাউনের আগে রাজ্যে একসময় করোনা সংক্রমণ পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় দৈনিক ২১ হাজারে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী হয়েছে৷
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত ১১ হাজার ২৮৪ জন। নতুন করে সংক্রমিতদের মধ্যে ২,৪৮২ জন উত্তর ২৪ পরগনার। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। একদিনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৮৩০ জন। অর্থাৎ একধাক্কায় অনেকটা কমেছে কলকাতার সংক্রমণ। তৃতীয় স্থানে উঠে এল দক্ষিণ ২৪ পরগনা। একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ৮৯০ জন। হাওড়া রয়েছে চতুর্থ স্থানে। রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩,৬৬,২৪০। একদিনে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের ১৪২ জনের। শুধু উত্তর ২৪ পরগণাতেই কোভিডের বলি হয়েছেন ৪৯ জন। যা রাজ্যে সর্বোচ্চ। মৃতের সংখ্যার বিচারে তার পরেই রয়েছে কলকাতা। গত একদিনে সংখ্যাটা ৩৩। রাজ্যে জারি হওয়া বিধিনিষেধের সুফল যে মিলছে, তা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে আরও একবার সেকথা উল্লেখ করেন তিনি।