একে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতেই হিমসিম অবস্থা, তার উপর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোন আছড়ে পড়ার আশঙ্কা মারণ ব্যাধির তৃতীয় ঢেউয়ের (Third Wave of Coronavirus)। আর যা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের (Maharashtra)।
একে দেশে করোনা সংক্রমণের প্রথম দিন থেকেই আক্রান্তের তালিকায় টপ লিস্টে রয়েছে উদ্ধব ঠাকরের রাজ্য। তার উপর এবার করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে চোখে সরষের ফুল দেখার জোগার মহারাষ্ট্র প্রশাসনের।
জানা গিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় আরও মারাত্মক হতে পারে তৃতীয় ঢেউ। যা সম্ভবত বাচ্চাদের (Kids effect on Coronavirus) বেশি আক্রমণ করতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেইমত আগাম প্রস্তুতি হিসেবে রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
সরকারি সূত্রে খবর, চলতি মাসে মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে ৮ হাজারেরও বেশি বাচ্চাদের শরীরে করোনার জীবাণু ধরা পড়েছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক প্রশাসনের কাছে।
আর এই অবস্থায় আগামী জুলাই-আগস্ট মাসে যদি দেশে করোনার থার্ড ওয়েভ ছড়িয়ে পড়ে তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ চাপের হয়ে যাবে প্রশাসনের কাছে। তাই আগাম সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা।
এই বিষয়ে মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি শহরের কর্পোরেশন মেয়র অভিজিৎ ভোঁসলে জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ যদি বাচ্চাদের উপর কোনও রকম প্রভাব ফেলে তা রুখতে সাঙ্গলি শহরে একটি কোভিড ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। যেখানে বর্তমানে পাঁচজন শিশু করোনা সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানান, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে যদি কোনও বাচ্চা সংক্রামিত হয় তাহলে তারা যাতে বুঝতে না পারে যে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেজন্য সাঙ্গলি শহরের কোভিড ওয়ার্ডকে বাচ্চাদের নার্সারি বা স্কুলের মতো করে তৈরি করা হচ্ছে যাতে তাদের কোনও সময় না মনে হয় তারা অন্য কোথাও রয়েছে।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) লকডাউনের (Lockdown)মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানার কথা ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Cm Udhhav Thakrey)। তবে জেলায় জেলায় সংক্রমণ ছড়ানোর গতি পর্যালোচনার পর কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় মিলতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যের যে জেলাগুলিতে পজিটিভিটি কেস ১০ শতাংশের নীচে ও হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন বেডে ৪০ শতাংশের কম রোগী ভর্তি আছেন সেখানেই কিছু ক্ষেত্রে ছাড় মিলতে পারে। তবে সংক্রমণের গতি যে জেলায় এখনও বেশি সেখানে আগেরে চেয়ে আরও বেশি কড়াকড়ি হবে বলে জানিয়েছন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।