খেজুরির কণ্ঠীবাড়িতে সভা ছিল বিজেপির। সেখানে যাওয়ার পথে ভারতী ঘোষকে আটকে দিল পুলিশ। তারপরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হেড়িয়া। এসডিপিও ও দুই থানার আইসি সহ মার খেলেন ছয় পুলিশ কর্মী। বিজেপির দুই কর্মীও ধস্তাধস্তিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
আজ সকাল দশটা নাগাদ মিছিল নিয়ে খেজুরি ঢোকার সময় হেড়িয়া পৌঁছোন ভারতী ঘোষ। সেখানেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। তখন গাড়ি থেকে নেমে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন ভারতী ঘোষ। তখন পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। ধস্তাধস্তিতে জখম হন বিজেপির দুই কর্মী। তাঁদের তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপরেই উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। জখম হল কাঁথি মহিলা থানার আইসি অনুষ্কা মাইতি ও খেজুরি থানার আইসি গোপাল পাঠক। গোলমাল থামাতে এসে আক্রান্ত হল কাঁথির এসডিপিও। তাঁদের হেড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এই গন্ডগোলের ফাঁকেই ভারতী ঘোষ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে কণ্ঠীবাড়ি চলে যান। সেখানে সভা করেন তিনি। দেখা করেন গ্রেফতার হওয়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পরিবারের সঙ্গে। ঘণ্টাখানেক সেখানে ছিলেন ভারতী ঘোষ। ফেরার পথে আজকের ঘটনার প্রতিবাদে হেড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রে স্মারকলিপি দেন তিনি।
গত পয়লা জুন খেজুরিতে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আটজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, ওই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কোনও যোগ না থাকলেও পুলিশ বেছে বেছে তাদের দলের কর্মীদেরই গ্রেফতার করেছে। এরই প্রতিবাদে আজ খেজুরির কণ্ঠীবাড়িতে সভা ডেকেছিল বিজেপি।