আমফানের পর তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে চাল-চুরির অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। ইয়াসের পর ফের ত্রাণের চালের বস্তা উদ্ধার হলো তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে।
আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এমন ঘটনা ঘটে খড়্গপুর শহর ও খড়্গপুর-২ ব্লক এলাকায়। গত শুক্রবার রাতে খড়্গপুর-২ ব্লকের চাঙ্গুয়ালে তৃণমূল কর্মী লক্ষ্মণ ধাড়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সরকারি ত্রাণের চালের ১০টি বস্তা। নেতার বাড়িতে সরকারি চাল কী করছে, এই প্রশ্ন তুলে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে বিডিও-র এক প্রতিনিধি পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
জানা যায়, চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ইয়াসের পরবর্তী সময়ের প্রয়োজনে চাল মজুত ছিল। গত বৃহস্পতিবার সেখান থেকেই ১০টি চালের বস্তা নিয়ে যান কয়েকজন তৃণমূল নেতা। সেগুলোই উদ্ধার হয়েছে এই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে।
পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সীতা টুডু অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে বলেন “বৃহস্পতিবার কয়েকজন কর্মী অফিসে ছিলেন। সে দিন আমাদের দলেরই কয়েকজন নেতা এসে ত্রাণ দেবেন বলে অফিসের কর্মীদের চাপ দিয়ে চালের বস্তা নিয়ে গিয়েছিলেন। আমিও মানছি এটা অন্যায়।” তিনি অভিযুক্তের বিরূদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার ও দাবি করেন প্রশাসন এবং দলের কাছে।
অন্যদিকে, একই দিনে খড়্গপুর শহরের খরিদায় রেশনের গম ও চাল বোঝাই একটি পিক-আপ ভ্যান আটক করে পুলিশ। সেগুলি স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী মহেশ কেশরওয়ানি নিজের গুদাম থেকে অন্যত্র সরাচ্ছিলেন বলে জানা যায়। শনিবার তাঁর গুদাম থেকে ৩৫টি চালের বস্তা, আটার ৫০টি বস্তা ও গমের ৮টি বস্তা বাজেয়াপ্ত করেন খাদ্য সরবরাহ দফতরের পরিদর্শক। ব্যবসায়ী অবশ্য বলেন, স্থানীয় মানুষ উদ্বৃত্ত চাল গম তাঁর কাছে বিক্রি করেন, বস্তার গায়ে সরকারি ছাপ রয়েছে , কিন্তু তিনি জানতেনই না এটা অন্যায়!