ভ্যাকসিন (Vaccination) নিলেই ফাইভ স্টার হোটেলে থাকতে পারবেন৷ সঙ্গে লাঞ্চ, ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধা৷ সম্প্রতি বেশকিছু বেসরকারি হাসপাতাল এমনই ‘ভ্যাকসিন প্যাকেজ’ দিচ্ছিল। এক্ষেত্রে এবার কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার৷ সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কোনও বেসরকারি হাসপাতাল কাউকে ‘ভ্যাকসিন প্যাকেজ’ দিলে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলে উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এ বিষয়ে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন হোটেলের সঙ্গে যোগসাজশ করে কোনও কোনও বেসরকারি হাসপাতাল ভ্যাকসিনেশন প্যাকেজের প্রস্তাব দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিড সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনে চলা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে সমস্ত জ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। হোটেলগুলিকে সতর্ক করে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তিনি লেখেন, যে সমস্ত হোটেল টিকাকরণ প্যাকেজের অফার দিচ্ছে তাদের কড়া আইনি শাস্তির মুখে পড়তে হবে। জাতীয় করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি-বিরোধী কার্যকলাপ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের ভ্যাকসিন প্যাকেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল রয়েছে৷ এরমধ্যে যেমন রয়েছে হায়দরাবাদ হাইটেক সিটির র্যাডিশন হোটেল৷ তারা ২ হাজার ৯৯৯ টাকায় একটি ভ্যাকসিনেশন প্যাকেজ এনেছিল। এই প্যাকেজে বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাশাপাশি মিলবে ব্রেকফাস্ট, ডিনার ও ওয়াই-ফাই পরিষেবা। শুধু এই হোটেলই নয়, ভ্যাকসিনেশন প্যাকেজ এনেছে মুম্বইয়ের দ্য ললিত। ‘ভ্যাকসিন নিন, বিশ্রাম নিন’, এই স্লোগানই দেওয়া হচ্ছে ওই হোটেলের পক্ষ থেকে। সাড়ে তিন হাজার টাকার প্যাকেজে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৩-৪ ঘণ্টা হোটেলের রুমে কাটাতে পারবেন। সঙ্গে লাঞ্চের ব্যবস্থাও থাকছে।দ্বিতীয় প্যাকেজ নিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সারারাত বিলাসবহুল হোটেলে থাকতে পারবেন। সঙ্গে খাবারের ব্যবস্থাও থাকছে। এজন্য গুনতে হবে ৫ হাজার টাকা। এজন্য ভ্যাকসিন নেওয়ার বৈধ নথি দেখাতে হবে।
কোভিড যুদ্ধে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনেশন । গত সাড়ে চার মাসে এখনও পর্যন্ত কুড়ি কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এদিন সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা যাবে শুধুমাত্র সরকারি এবং বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে, অফিসে, প্রবীণদের জন্য বাড়ির কাছে কোনও টিকাকরণ কেন্দ্রে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোনও হাউসিং সোসাইটিতে, কমিউনিটি সেন্টারে, পঞ্চায়েত ভবনে, স্কুল, কলেজে এবং বৃদ্ধাশ্রমে।’