লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির ব্যাপক উত্থান এবং এই মুহূর্তে চলতে থাকা কাটমানি বিতর্কের পরে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের নতুন অস্বস্তি। পঞ্চায়েত উপপ্রধানকে চটুল গানে এক মহিলার সঙ্গে নাচতে দেখা গেল অশ্লীল অবস্থায়। তাও আবার প্রকাশ্য মঞ্চে।
এই ধরনের আকর্ষক ভিডিও ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় নেয়নি। আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি। মঙ্গলবার রাতের দিকে এই খবর সংক্রান্ত প্রতবেদন প্রকাশ করেছে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস নাউ।
সেই প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচিত উপপ্রধান তথা তৃণমূলের নেতা হলেন আনসার মোল্লা। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ভাঙড়ের সানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। যে এলাকাটি যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে পরে। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়ছে তৃণমূল। বাম-বিজেপির দাপুটে প্রার্থীদের হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী।
সোমবার রাতে নিজের এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে দাঁড়িয়ে চটুল অশ্লীল গানে নৃত্য করেন তিনি। সেই মঞ্চে তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক স্বল্পবাসনা মহিলা। প্রায় নগ্ন মহিলার সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের নাচের ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। প্রকাশ্যে শতাধিক মানুষের সামনে জনপ্রতিনিধি তথা রাজ্যের শাসকদলের নেতার নাচের ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের কোনও নেতা মুখ খোলেননি।
তৃণমূল কংগ্রেস এবং ওই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তৃণমূল কংগ্রেস বা ওই দলের শাঁখা সংগঠনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চটুল গানের অশ্লীল নাচ পরিবেশনের অভযিওগ রয়েছে। স্কুল বা অলেজের অনুষ্ঠানে স্বল্পবাসনা মহিলার চটুল নাচ ঘিরে হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
সেই তালিকাতেই নতুন সংযোজন হচ্ছে উপপ্রধান আনসার মোল্লা। এর আগে ২০১৩ সালেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে এরাজ্যে। সেক্ষেত্রেও এক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছিল। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনে নাচতে থাকা মহিলার গায়ে টাকা ওড়ানো হয়েছিল। এক দাপূএট তৃণমূল নেতা ওই কম্ম করছিলেন যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল।