একে তো অতিমারীর আবহ। তার মধ্যেই এবার অ্যাসিড বৃষ্টির ( Acid Rain) আশঙ্কা শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka)। সেদেশের পরিবেশ দপ্তরের তরফে সকলকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায়। কিন্তু কেন হঠাৎ অ্যাসিড বৃষ্টির ভ্রুকুটি শ্রীলঙ্কার উপরে?
আসলে কলম্বো উপকূল থেকে সামান্য দূরেই এক রাসায়নিক বোঝাই জাহাজে আগুন লেগে গিয়েছে। গত সপ্তাহ থেকেই সেখানে আগুন জ্বলছে। ‘এমভি এক্সপ্রেস পার্ল’ নামে সিঙ্গাপুরের ওই জাহাজে রয়েছে প্রসাধনী ও রাসায়নিক। গুজরাটের হাজিরা থেকে কলম্বো অভিমুখে যাচ্ছি সেটি। কিন্তু উপকূল থেকে ৯.৫ নটিক্যাল মাইল দূরেই আগুন লেগে যায় সেটিতে। কেবল প্রসাধনী বা রাসায়নিকই নয়, সেই সঙ্গে জাহাজে ৩২৫ টন জ্বালানি রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ১ হাজার ৪৮৬টি পাত্রে রাখা ছিল প্রায় ২৫ টন নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডও।
জাহাজে ভারত, চিন, রাশিয়া ও ফিলিপিন্সের মোট ২৫ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। তাঁদের সকলকে গত মঙ্গলবারই উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল, শুক্রবারই শ্রীলঙ্কার নৌসেনা কমান্ডার নিশান্ত উলুঘেটেন্নে সকলকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, জাহাজটি ভেঙে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে সমস্ত রাসায়নিক সমুদ্রের জলে মিশে গিয়ে প্রবল দূষণ সৃষ্টি হবে, এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
কিন্তু আশঙ্কা জাগাচ্ছে জাহাজ থেকে নির্গত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড। ‘মেরিন এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন অথোরিটি’ তথা এমইপিএ-র কর্ণধার দর্শনি লাহান্দাপুরা জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা লক্ষ রেখেছি ‘এমভি এক্সপ্রেস পার্ল’র দিকে। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড বেরচ্ছে। এই বর্ষার মরশুমে এই গ্যাস নির্গত হলে অ্যাসিড বৃষ্টি হতে পারে।’’ সেই কারণেই সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।