caa-rules-on-hold-in-5-stateপাঁচ রাজ্যের (States) ১৩ জেলায় (Districts) আপাতত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ (CAA) স্থগিত রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt)। গুজরাত (Gujrat) , ছত্তীসগড় (Chattisgarh) , রাজস্থান (Rajasthan) , হরিয়ানা (Hariyana) এবং পাঞ্জাবের (Punjab) ১৩টি জেলায় নাগরিকত্ব (Citizenship) পাওয়ার আবেদনপত্র-সহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাইকরণের জন্য সময় লাগবে। এই পাঁচ রাজ্যে পাকিস্তান (Pakistan) , আফগানিস্তান (Afganistan) এবং বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে বহু পরিবার এসে বাস করছেন। তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে কিছুটা সময় আরো লাগবে।
কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই পাঁচ রাজ্যের ১৩ জেলায় হিন্দু (Hindus), শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পরিবার রয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যগুলিকে অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry) সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে ১৯৫৫ ও ২০০৯ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন অনুযায়ী ও আদেশ জারি হয়নি। এই একই ধরনের বিজ্ঞপ্তি এর আগে ২০১৮ সালেও দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কয়েকটি জেলার জন্য জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
গুজরাত, ছত্তীসগড়, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের ১৩টি জেলায় বেশ কিছু পরিবারের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদনপত্র-সহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাইকরণের জন্য সময় লাগবে। সেই কারমেই ওই জেলাগুলিতে সিএএ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, গুজরাতের মোরবি, রাজকোট, পাটান ও ভাদোদারা জেলায় সিএএ স্থগিত রাখা হয়েছে। একইভাবে ছত্তীসগড়ের দুর্গ এবং বালোদাবাজার জেলাতেও আপাতত হচ্ছে না সিএএ। রাজস্থানের জালোর, উদয়পুর, পালি, বারমেড় ও সিরোহী জেলাতেও এখনই হচ্ছে না সিএএ। উল্টোদিকে, হরিয়ানার ফরিদাবাদ ও পঞ্জাবের জলন্ধরেও আপাতত সিএএ কার্যকর করা হচ্ছে না।
কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, এই পাঁচ রাজ্যের ১৩ জেলায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু পরিবার (Family) এসে বাস করছেন। নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের আবেদনপত্র পাঠাতে হবে কালেক্টর বা সচিবস্তরের আধিকারিকদের মাধ্যমে। তারপর সেই আবেদনপত্র জেলাস্তর থেকে রাজ্যস্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে পৌঁছোবে। তারপর নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন পোর্টালের (Online Portal) মাধ্যমে সেই আবেদনপত্র পৌঁছোবে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে।