লকডাউনের সুযোগে স্কুল বাড়ি ভাড়া, কাঠগড়ায় প্রধান শিক্ষক

তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক (headmaster)। আর সেই তিনি নাকি স্কুল (school) বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন অন্য কাজের জন্য। অভিযোগ, সেই কাজ তিনি করছেন অর্থের বিনিময়েই। লকডাউন (lockdown) এর সুযোগে গ্রামের এক ব্যক্তিকে অর্থের বিনিময়ে স্কুল ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এদিকে শিক্ষকের দাবি অন্য। তিনি বলেছেন ব্যক্তিকে তিনি থাকতে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু ভাড়া দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক।

ঘটনা মানিকচকের সাহেবরামটোলা গ্রামের। সেখানে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় (primary school) । লকডাউন এ সুযোগে ওই বিদ্যালয়টি গ্রামের লালমোহন মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে ভাড়া দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক বলে অভিযোগ। পরিবার নিয়ে স্কুলেই বসবাস করছেন ওই ব্যক্তি। এমনকি স্কুলে গবাদি পশুদের রাখা হয়েছে। রয়েছে গবাদি পশুদের খাবারও। এভাবে দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল ভাড়া দেওয়াই ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময় স্কুল ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তারা। বিষয়টি বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। স্কুল ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন লালমোহন মণ্ডলের স্ত্রী রিঙ্কু মন্ডল। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই তিনি স্কুলে থাকছেন বলে জানিয়েছেন।

যদিও প্রধান শিক্ষকের দাবি লালমোহন মন্ডলের বাড়ি তৈরি হচ্ছিল তাই তিনি একটি ঘর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন। অর্থের বিনিময় ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রামটোলা এলাকায়। এর তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদহের জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র।

করোনা সংক্রমণের (coronavirus) শৃঙ্খল ভাঙতেই লকডাউনের (Lockdown) মেয়াদ বাড়াল রাজ্য সরকার। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বাংলায় কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকবে। বৃহস্পতিবার বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনকার নিয়মেই বাজার-দোকান বন্ধ থাকবে। তবে শিল্পক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে সেখান রাজ্যের বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, “কড়া বিধি নিষেধ জারি করে করোনা সংক্রমণ বেশ কিছুটা কমানো গিয়েছে। তাই এর মেয়াদ কিছুটা বাড়ানো হল। আপনাদের অসুবিধার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।” উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। এবার সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বেশ কিছুটা বাড়ানো হল। তবে ছাড় দেওয়া হল পাটশিল্প এবং নির্মাণ শিল্পের ক্ষেত্রে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.