করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে তুমুল মারপিট বালুরঘাটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া পুলিশের। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের না দিয়ে মহিলা ও নিকট পরিচিতদের ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ ব্যবসায়ী সমিতির বিরুদ্ধে। এদিন এমন অভিযোগ তুলেই সরব হতে দেখা গেছে অধিকাংশ ব্যবসায়ীকে। করোনার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীদের প্রথম দিনে ধাক্কাধাক্কি এবং দ্বিতীয় দিনে এমন মারপিটের ঘটনায় যথেষ্টই আলোড়ন পড়েছে গোটা বালুরঘাট শহরজুড়ে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার থেকে বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে ব্যবসায়ীদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল ২৫০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার আরও ২৫০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল। প্রথম দিনের শুরু থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা৷ যা নিয়ে বেশ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বুধবারের পর ফের একই অভিযোগে এদিন মারামারির ঘটনায় যথেষ্টই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ব্যবসায়ীদের একাংশ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
বিক্ষোভকারী ব্যবসায়ীরা বলেন, ব্যাবসায়ীদের ভ্যাকসিন দেবার কথা থাকলেও মহিলা ও অন্যপেশার লোকজনের ভিড় উপচে পড়েছে। যে ঘটনারই প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে হরেরাম সাহা জানিয়েছেন, মারামারি একটা হয়েছে, তবে সেটা ভ্যাকসিনের জন্য নয়। লাইন দেওয়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা বিবাদ হয়েছে। যদিও পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা স্বাভাবিক হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানিয়েছেন, তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা প্রত্যেকেই ভ্যাকসিন পাবে।