অতিমারির বিপদ বাড়িয়ে দিতে পারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে বাড়তে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। এমনই বলছেন চিকিৎসকেরা।
এমনিতেই ইয়াস নিয়ে আতঙ্কে রাজ্যের বহু মানুষ। অনেক রকম ভাবে সতর্ক হচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব পড়তে পারে কি করোনা সংক্রমণের উপর? এমনই দাবি বক্ষরোগবিদদের। চিকিৎসক বিভোর সেনগুপ্তের মতে, অতিমারির সময়ে এমনিতেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা বৃদ্ধি পয়েছে। ঘূর্ণিঝড় হলে তার মাত্রা আরও বাড়তে পারে। ‘‘ঝড়ে প্রচুর ধূলিকণা উড়তে থাকে। সেগুলি ফুসফুস ঢুকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে,’’ এমনই মত তাঁর।
এই সময় কি কোভিড আক্রান্তদের জন্য বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার? চিকিৎসকেরা বলছেন, যাঁদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই এই সময়টা বা এর পরের আরও কিছুটা সময় এমন জায়গায় রাখতে হবে, যেখানে ধুলো কম। ‘‘ধুলোর ঝড় মানে, শুধু ধুলো নয়। তার সঙ্গে বৃষ্টিকণা মেশে। অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে এমন প্রচুর উপাদান বাতাসে মেশে। সেগুলি ফুসফুস ঢুকে শ্বাসের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে,’’ বলছেন বিভোর।
শুধু ধূলিকণা নয়, তাপমাত্রার পরিবর্তনেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। যাঁদের দীর্ঘদিনের হাঁপানির অসুখ বা ‘সিওপিডি’ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আলাদা করে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কম। কিন্তু কোভিড রোগী বা কোভিড সারিয়ে সুস্থ হচ্ছে এমন মানুষ তো বটেই সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষেরও এই সময় সাময়িক শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের।