“সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল দেওয়ার ঘটনায় কাটমানির গল্প আছে।” এমনটাই অভিযোগ করলেন জলপাইগুড়ির কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা। মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের ওপর আলোচনা পর্বে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন সুখবিলাস। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি স্বীকৃতিতে কাটমানি খাওয়া চলছে। তার মধ্যে প্রথমে আসে সবুজ সাথী প্রকল্পের নাম।” সুখবিলাস আরও বলেন, “যে সাইকেল বাজারে ২৩০০-২৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। সেটা সরকার কিনেছে ৩২০০-৩৪০০ টাকা দিয়ে। এখানেই তো কাটমানির গল্প আছে।” প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়কের এমন অভিযোগের কথা শুনে হট্টগোল শুরু করে দেন শাসকদলের বিধায়করা।
কিন্তু এমন শোরগোলেও না থেমে সুখবিলাস বর্মা বলেন, “সেই সাইকেলগুলোর কোম্পানির মালিকের থেকে সোজা কাটমানির টাকা উপরের তোলার নেতানেত্রীর কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “চাকরি দেওয়ার নাম করে যারা টাকা নিয়েছেন সেটাও তো কাটমানি। নিচ থেকে উপরের পর্যন্ত নেতারা টাকা নিয়েছেন। সেই টাকা ফেরত হবে কোন পথে ?” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী প্রকল্পের পর সবচেয়ে বড় সাফল্য যে প্রকল্পটি বলে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করে, তা হল সবুজ সাথী। এই প্রকল্পে গ্রাম বাংলার স্কুলে পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের সাইকেল দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যা ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিল। কিন্তু প্রাক্তন আমলা তথা বর্তমানে কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মার সাইকেল প্রদানকে কেন্দ্র করে যে দুর্নীতির কথা তুলে ধরলেন। তা আগামী দিনে আরও বড় আকার নিতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।