সারা ভারত জুড়ে বিভিন্ন সৌধ রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। তার জন্য আলাদা করে কেন্দ্রের তরফে বাজেট ঠিক করা থাকে। এ বার আলাদা করে একটি যোজনা আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আদর্শ স্মারক যোজনা। এই যোজনার মধ্যে দেশের ১০০টি সৌধকে চিহ্নিত করে তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেওয়া হবে। তার মধ্যে রয়েছে এ রাজ্যের চারটি সৌধ।
সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় কেন্দ্রের সংস্কৃতি ও পর্যটন দফতরের প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং পটেল জানিয়েছেন, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা সৌধের মধ্যে ১০০টি সৌধকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সৌধগুলির রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নতির জন্য সেগুলি আদর্শ স্মারক যোজনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা করে কোনও বাজেট থাকবে না। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার জন্য যে বাজেট ঠিক করা থাকে, তার মধ্যে থেকেই এই সৌধগুলির দেখভাল করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই যোজনার মধ্যে থাকা ১০০টি সৌধর মধ্যে বাংলার যে সৌধগুলি রয়েছে, সেগুলি হলো, মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি প্যালেস, মালদহের গৌড়ের আদিনা মসজিদ, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার মন্দির ও কোচবিহার প্যালেস।
এই সৌধগুলির দেখভালের দায়িত্বে থাকা আর্কিওলজক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘যে চারটি সৌধ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলি প্রতিটিই খুব বিখ্যাত। বিশেষ করে হাজারদুয়ারি ও বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার মন্দির দেখতে প্রতিদিন প্রচুর লোক যান। ফলে নিয়মিত এই সৌধগুলির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। যদি এই যোজনার আওতায় আরও কিছু উন্নতি করা সম্ভব হয়, তাহলে আরও বেশি পরিমাণ মানুষ বাংলার এই বিখ্যাত ঐতিহাসিক সৌধ দেখতে যাবেন বলেই আশা করা হচ্ছে।’