Coronavirus: ২০১৯ সালেই কোভিডে সংক্রমিত হন উহানের গবেষকরা, ভর্তি হন হাসপাতালেও, দাবি নয়া রিপোর্টে

অতিমারির কবলে গোটা বিশ্ব ধুঁকলেও সময় থাকতে ঘর গুছিয়ে নিয়েছে চিন। কিন্তু নোভেল করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে নতুন করে ‘অস্বস্তি’-র মুখে পড়েছে তারা। নেপথ্যে আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থার একটি রিপোর্ট। যাতে বলা হয়েছে, ২০১৯-এর শেষ দিকে নয় বরং সে বছর শুরুতেই উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির (ডব্লিউআইভি) কয়েক জন গবেষক অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। কোভিডের মতোই উপসর্গ ছিল তাঁদের। আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয় সেইসময়। তাই বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, গবেষকদের গাফিলতিতেই হোক বা অন্য কোনও ভাবে, উহানের ওই গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। তার ঢের পড়ে অতিমারির খবর প্রকাশ করে চিন।

বছর ঘুরে গেলেও করোনার উৎস নিয়ে গবেষণা এখনও আলাপ-আলোচনার স্তরেই আটকে রয়েছে। তার জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। আমেরিকা, কানাডা, নরওয়ে, ব্রিটেনের মতো দেশগুলির অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে চিনকে আড়াল করছে ‘হু’। যে কারণে যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও উহানের গবেষণাগারকে করোনার ‘উৎসস্থল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে না। ‘হু’ যদিও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ মানতে একেবারেই নারাজ। বরং করোনার উৎস খতিয়ে দেখতে পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনায় উদ্যোগী হয়েছে তারা। তার মধ্যে দেশের গুপ্তচর সংস্থার পুরনো একটি রিপোর্ট তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আমেরিকার ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’।


ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের আমল থেকেই উহানের ওই গবেষণাগারকে করোনার উৎসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে আমেরিকা। চিনের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগও ধারাবাহিক ভাবে তুলেছে তারা। একই পথে হাঁটছে জো বাইডেনের সরকারও। কোভিডের সূচনাপর্ব নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে তারা। বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে বিষয়টি নিয়ে সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র। যদিও চিনা বিদেশমন্ত্রকের দাবি, ফেব্রুয়ারি মাসে ‘হু’-র সদস্যরা গবেষণাগার থেকে ঘুরে গিয়েছেন। সেখান থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার দাবি আগেই খারিজ করেছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.