ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে ঘনীভূত হচ্ছে ইয়াস। রবিবার দুপুরে দিঘা থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধে নাগাদ পারাদ্বীপ এবং সাগর দ্বীপের মাঝে কোনও এলাকায় আছড়ে পড়বে ইয়াস। রবিবারের মধ্যেই মত্স্যজীবীদের সমুদ্র থেকে পারে ফিরে আসতে বলা হয়েছ। সোমবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে ইয়াস। বিকেলের দিকে সমুদ্রে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তারপর আরও শক্তি বাড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে উপকূলের দিকে এগোবে ইয়াস।
মঙ্গলবার অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ইয়াস। ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ বেড়ে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এইদিন উপকূলবর্তী দুই মেদনীপুর, দুই ২৪ পরগনা-সহ হাওড়া, হুগলিতে হাল্কা থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে সঙ্গে হাওয়ার গতিবেগও। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই দিন সর্বোচ্চ ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার পূর্বাভাস আলিপুরের। কলকাতা-সহ, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে নদিয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমে। এ ছাড়াও মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুরেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বৃহস্পতিবারও কমলা সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মালদা এবং দার্জিলিং-এ অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও উত্তরবঙ্গ এবং বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে দফায় দফায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।