করোনা কালে জনসংযোগে জোর! সাংসদ-বিধায়কদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ বিজেপির

কোভিডের (COVID-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত মানুষ। ভ্যাকসিনের অভাব, অক্সিজেনের সংকট। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় দলের বিধায়ক ও সাংসদদের পথে নেমে মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে সক্রিয় ভাবে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূলের (TMC) নেতা-মন্ত্রীরা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বামেদের ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’। জনসংযোগের ভিত মজবুত করতে এবার বিজেপির (BJP) জনপ্রতিনিধিদেরও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে দল। এমনকী যাঁরা বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন তাঁরাও নিজের নিজের এলাকায় সেবামূলক কাজে নেমে পড়েছেন।

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন কোভিড আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কোনওভাবেই যেন মানুষের কাছে ভুল বার্তা না যায় যে, ক্ষমতায় না আসতে পারার জন্য আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। তাই শুধু বিধায়করাই নন, পরাজিতরাও যেন নিজের এলাকায় কোভিড ত্রাণে এগিয়ে আসে। লকডাউন পর্বে যানবাহন বন্ধ, জরুরি প্রয়োজনে রোগীর বাড়ি থেকে হাসপাতাল যেতে যাতে সমস্যা না হয়, সেই লক্ষ্যে বিনামূল্যে টোটো পরিষেবা ইতিমধ্যেই চালু করেছেন বাঁকুড়ার সাংসদ ডা. সুভাষ সরকার (Subhash Sarkar)। একইসঙ্গে তিনি শনিবার কামালপুর ছাতনা এবং জুনবেরিয়া অঞ্চলে বিনামূল্যে অক্সিজেন পরিষেবা চালু করেছেন। এই মুহূর্তে অক্সিজেনের ঘাটতি একটা বড় সমস্যা। কোভিড মোকাবিলায় পথে নেমেছেন খড়্গপুরের বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় সাহায্য করতে কুইক রেসপন্স টিম গড়ে তুলেছেন তিনি। যাঁরা হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করা থেকে ওষুধ, খাবার, মাস্ক, স্যানিটাইজার সবরকমের সহায়তা করছেন।


উত্তরবঙ্গের মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আন্দনময় বর্মন এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ (Shankar Ghosh) নকশালবাড়ির গ্রামীণ হাসপাতালে করোনা মোকাবিলার জন্য অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যক সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। আবার পুরুলিয়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে লকডাউনের মতো পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের কথা ভেবে তাদের ভরপেট খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন বনগাঁ উত্তর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া বনগাঁর ১১ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে সকলের সুস্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী হাতে তুলে দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর মছলন্দপুর বাজারে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন। অন্যদিকে করোনার এই মহামারী কালে মানুষের পাশে থাকতে দমদম উত্তরের বিজেপির পরাজিত প্রার্থী ডাঃ অর্চনা মজুমদার নিজের উদ্যোগে দমদম উত্তর বিধানসভার ৩ নম্বর মণ্ডল পার্টি অফিসকে সাধারণ মানুষের নি:শুল্ক চিকিৎসা পরিষেবার জন্য খুলে দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.