পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের বোধোদয় কবে হবে?

পশ্চিমবঙ্গের কিছু সংখ্যক বুদ্ধিজীবী কবে শুধরোবেন এই প্রশ্ন সর্বস্তরের মানুষের। এক মিডিয়ার সঞ্চালক এক প্রবীণ অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কানাইয়াকুমারকে সিপিএম প্রার্থী করেছিল কেন? অভিনেত্রী উত্তর দিলেন, তিনি কানাইয়াকুমারের প্রচণ্ড ফ্যান। সঞ্চালক বললেন, কানাইয়াকুমার তো সর্বাধিক ভোটে হেরে রেকর্ড গড়েছেন। অভিনেত্রী বললেন, কেন হারলো বুঝতে পারলাম না, আসলে ভারতবর্ষ সোনা চেনে না। তাহলে বুঝুন এই সবজান্তা অভিনেত্রীর মানসিকতা! যে কানাইয়া জেএনইউ-তে স্লোগান তোলে ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’তিনি তার ফ্যান? এই অভিনেত্রী পশ্চিমবঙ্গের তৃণু বুদ্ধিজীবীদের ব্যানারে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এখন বলছেন, মমতা ব্যানার্জি নিজের হাতে নিজের কবর খুঁড়ছেন। বলতে লজ্জা হয়, এই বুদ্ধিজীবী সমাজ দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে এলেন। আজ পর্যন্ত নিজের জমিভিটে বিক্রি করা কিংবা রক্ষা করার মুরদ বা সাহস তাদের হলো না। এমনকী পরবর্তীকালে তাদের আত্মীয়-স্বজন সকলকে একে একে নিয়ে এলেন সুরক্ষিত পশ্চিমবঙ্গে। এরা নিজেদের সেকুলার বলে মিডিয়ায় বারবার তুলে ধরেন। এরা এতো সেকুলার যে অনবরত শুধু হিন্দুদের মারাত্মক সমালোচনা করেন এবং অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের প্রশংসা করেন ও জেহাদিদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে চুপ করে থাকেন। তাদের জন্য এদের প্রাণ কাঁদে। একটি মুসলমান কোনো অপরাধে গণপ্রহার খেলে এই বুদ্ধিজীবীরা আদাজল খেয়ে মোমবাতি মিছিল, মৌন মিছিল এবং বড়ো বড়ো ভাষণ দিয়ে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে। কিন্তু হিন্দু মেয়েরা যে প্রতিদিন লাভ জেহাদির শিকার হচ্ছেন, প্রতিদিন ধর্ষিতা হচ্ছেন, প্রতিদিন এদের জোর করে ধর্মান্তকরণের চাপ দেওয়া হয় কিংবা কোনো না কোনো অজুহাতে মেরে ফেলা হচ্ছে। তখন বুদ্ধিজীবীরা চুপ করে থাকেন কেন? সম্প্রতি, টুইঙ্কেলশৰ্মা নামে তিন বছরের একটি শিশুকে দুটি মুসলমান ধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যা করল প্রমাণ লোপাটের জন্য। সেই অভিনেত্রী তো একবারও ওই অপরাধীদের ফাঁসির দাবি করলেন না। এরা আসলে সিলেক্টিভ সেকুলার।
এভাবে মুসলমানদের এরাই তোল্লা দিয়ে দিয়ে মাথায় তুলে রেখেছেন। পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। তারা কত লিটার জল ব্যবহার করছেন ও খাবার জন্য চাল, তেল, চিনি, ডাল, আটা, চাল, চিনি, কেরোসিনে এদের জন্য কত ভরতুকি দিতে হচ্ছে তার হিসেব কেউ রাখছেন কি? চাকরিতে সংরক্ষণ, স্কুলে ও কলেজে কোটা, সরকারি অনুদান আর কত কী। জনপ্রতি কত লিটার জল ও কত কিলো আনাজপাতি এদের জন্য বাড়তি উৎপাদন করতে হচ্ছে। এক কোটি অনুপ্রবেশকারীর জন্য খাদ্য আমদানি করতে গিয়ে দেশবাসীকে বেশি দাম দিয়ে এগুলি কিনতে হচ্ছে। একে তো দ্রব্যমূল্য কমছেই না উপরন্তু বেকারত্ব, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, গোরু চুরি ও পাচার বাড়ছে। তাই এনআরসি-র চিন্তা ভাবনা করেছে কেন্দ্র। এদের চিহ্নিত করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিলে ভাবুন তো কত সাশ্রয় হবে! একটি ছোট্টো দেশ মায়ানমার বুঝে গেল রোহিঙ্গারা তাদের বিপদ, তাই রাতারাতি তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিল। প্রতিশেী চীনে মুসলমানদের সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে আইন আছে, রাস্তা আটকে নামাজ করার ক্ষেত্রে আইন আছে, মাইকে আজান দেবার ক্ষেত্রে শব্দ নিয়ন্ত্রিত আইন লাগু আছে। একমাত্র ভারতর্ষেই কোনোকিছু করতে গেলে সেকুলাররা রে রে করে ওঠে। এর কারণ, ভোটব্যাঙ্ক। তোয়াজ এদের করে প্রতিটি দল। হিন্দুদের ঘরে দুটির বেশি সন্তান নয় আর এদের ঘরে ন্যূনতম কুড়ি থেকে পঁচিশ জন। এদের গায়ে আঘাত লাগলে বুদ্ধিজীবীরা সমস্বরে বলেন, এই বাঙ্গলা রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের বাঙ্গলা, ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম’। তারা কি জানেন বাংলাদেশে হিন্দুরা কীভাবে রয়েছেন, কত কষ্টে, কত আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন? আর এপারে মুসলমানদের সংখ্যা কত বেড়েছে, তথ্যটা নেবেন। টিভিতে বসে গালভরা গল্প করা সহজ কিন্তু বাস্তবটা কত কঠিন একটু গ্রামেগঞ্জে ও সীমান্ত এলাকায় ঘুরে দেখে আসুন। এই রাজ্যে হিন্দুরা কি আদৌ সুরক্ষিত?
বাংলাদেশে হিন্দু মহাজোটের নেতা দক্ষ উকিল পলাশ রায়কে জেলেই পুড়িয়ে হত্যা করা হলো, কোথায় বাঙ্গলার বুদ্ধিজীবীদের মোমবাতি মিছিল ? হিন্দু মরলে কোনো সমবেদনা নেই। এই বুদ্ধিজীবীদের একাংশ বাংলাদেশ থেকে তাড়া খেয়ে রাতের অন্ধকারে কাটাতারের বেড়া টপকে ভারতে এসেছেন। আর এখানে সেকুলার সেজে বসে আছেন। এদের বোধোদয় কবে হবে!
রাজু সরখেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.