কাটমানি নিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ তো চলছেই। এর মধ্যে সেই ইস্যুতে প্রত্যাশিত ভাবেই উত্তপ্ত হল বিধানসভার অধিবেশন। বাম-কংগ্রেস বিধায়করা অধিবেশন ওয়াক আউট করে লবিতে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিলেন, “CM মানে কাটমানি।”
বাম-কংগ্রেস বিধায়করা এ দিন দাবি তোলেন, নিচু তলার নেতারা ২৫ শতাংশ নিয়েছে। আর রাঘববোয়ালরা নিয়েছেন ৭৫ শতাংশ। শুধু ২৫ ফেরত দেওয়ার কথা বললে হবে না। ৭৫:২৫ অনুপাতেই কাটমানি ফেরত দিতে হবে।
এ দিন সরকারের তরফে জানানো হয়, ঘূর্ণি ঝড় ফণীতে রাজ্যে ৫৬৮ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অধিবেশনে বলতে উঠে উত্তর দমদমের সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, “আমরা তো শুনেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী একা ফণী ঝড় আটকে দিয়েছেন। তাহলে কি এই টাকাটাও কাটমানি?” এরপরই হট্টগোল বেঁধে যায় অধিবেশনে। কক্ষ ছেড়ে বাইরে চলে আসেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা।
ব্যানার হাতে করে এ দিনের অধিবেশনে গিয়েছিলেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। সেরকমই একটি ব্যানারে লেখা ছিল, “১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকায় ছবি বিক্রি, সেই কাটমানি কে ফেরত দেবে?” ইঙ্গিত কোন দিকে তা বুঝতে কারও অসুবিধে হয়নি। কাটমানি নিয়ে সরকারের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও তোলেন বিরোধী বিধায়করা।
কিছুক্ষণ ওয়াকআউটের পর ফের অধিবেশন কক্ষে যান বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। সেখানেই ভাটপাড়া, পাত্রসায়র-সহ রাজ্যের সমস্ত হিংসার ঘটনায় প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন আবদুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তীরা। দুটি জায়গাতেই পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন তাঁরা।
ও দিকে যখন তৃণমূল সাংসদের বিক্ষোভে সকাল থেকেই সরগরম সংসদ ভবনের গান্ধীমূর্তির পাদদেশ, এ দিকে রাজ্য বিধানসভাতেও তুলকালাম বিরোধীদের।