কোভিড অতিমারিতে অনেক শিশু তার বাবা-মা দু’জনকেই বা দু’জনের এক জনকে হারিয়েছে। অনেক মহিলা তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন। আবার অনেক বাবা-মা তাঁদের একমাত্র উপার্জনকারী সন্তানকে হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সুরক্ষিত ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা থাকছে। তাই এই বিষয়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে পদক্ষেপ করতে নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রিয়জন হারিয়ে একা হয়ে যাওয়া মহিলা, প্রবীণ নাগরিক, অনাথ শিশু-সহ সমাজের দুর্বল মানুষদের সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছে মন্ত্রক। অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে অনাথ শিশু, মহিলা, প্রবীণ নাগরিক, তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি ও পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তায়।
অতিমারির কারণে কত শিশু অনাথ হয়েছে সে সম্পর্কে কোনও সরকারি তথ্য নেই। তবে বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার অনাথ হয়ে যাওয়া শিশুদের জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। দিল্লি সরকার বলেছে, অনাথ শিশুদের পড়াশোনার ভার তারা নেবে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যু হলে প্রতি মাসে সেই পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা পেনশন দেওয়া হবে। যে সব পড়ুয়ার বাবা-মা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, তারাও মাসে আড়াই হাজার টাকা করে পেনশন পাবে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত। তাদের পড়াশোনার খরচ দেবে দিল্লি সরকার। কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারও অনাথ হয়ে যাওয়া শিশুদের সুরক্ষার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
শুধু তাই নয়, এই সময় নারী এবং শিশুদের উপর নির্যাতন যাতে না বৃদ্ধি পায়, সে জন্য মহিলাদের জন্য পৃথক হেল্প ডেস্ক চালু করতে ১০৭. ৪৯ কোটি টাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।