বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ন’টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৪টি জেলার কোভিড পরিস্থিতি, ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি জেলাগুলির উদ্দেশে পরামর্শ দেন প্রতিটি গ্রামকে করোনা মুক্ত করতে হবে।
‘মাইক্রো প্ল্যানিং’ অর্থাৎ ছোট জায়গায় ধরে সংক্রমণ রুখতে পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি আগামীর প্রস্তুতি নিয়েও জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছেন মোদী। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যখন শিখর ছুঁয়েছে তখনই আবার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী অবশ্য থার্ড ওয়েভ বা তৃতীয় ঢেউয়ের কথা উল্লেখ করেননি। শুধু বলেছেন, আগামীর প্রস্তুতি যেন আঁটোসাঁটো রাখা হয়।
গ্রামীণ এলাকায় সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “গ্রামীণ এলাকায় কোভিড নিয়ন্ত্রণ শহরের থেকে তুলনামূলক সহজ। কারণ গ্রামীণ এলাকায় জনঘনত্ব শহরের মতো নয়।” তা ছাড়া টিকাকরণে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া, টিকা যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বাংলার ন’টি জেলা ছিল প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের তালিকায়। এই ন’টি জেলা হল, কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূম এবং পূর্ব মেদিনীপুর। কোভিড পর্বের শুরু থেকেই কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়েও তার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। গত ২০ দিন ধরে রোজই কলকাতার তুলনায় উত্তর চব্বিশ পরগনায় সংক্রমণের হার থাকছে বেশি। দৈনিক মৃত্যুতেও দুই জেলা কাছাকাছি। যদিও এই জেলাগুলির জেলাশাসক বা জেলা প্রশাসনের কেউ এদিন উপস্থিত ছিলেন না। রাজ্যের হয়ে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা ছাড়া ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব।