রাজ্যে ঝড়ের ভ্রুকুটি রয়েছে। এখনই কোনও সম্ভাবনা স্পষ্ট না হলেও একটি সম্ভাব্য নিম্নচাপ নিয়েই ঝড়ের ভয় তৈরি হয়েছে। হাওয়া অফিস ওই সম্ভাব্য নিম্নচাপের দিকে কড়া নজর রাখছে। নিম্নচাপ(low pressure area) যদি ঘূর্ণিঝড়ে (cyclone) পরিণত নাও হয় তাহলে শুধু বৃষ্টি হতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর আগামী দুই সপ্তাহের আউটলুক দিয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে ওই সম্ভাব্য ও ভ্রুকুটি জাগানো নিম্নচাপটি গতিপথ হতে পারে ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ বা মায়ানমারে। এটার জন্যই অপেক্ষা করছে হাওয়া অফিস। দেখতে চাইছে এটি আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কিনা। হলেও এর গতিপথ কী হবে সেটাও দেখতে চাইছে হাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় তা ঘনীভূত হলে নাম হবে তালিকা অনুযায়ী ‘যশ’ (Yash)। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ মে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি (Bay of Bengal) নিম্নচাপ তৈরি হবে। সেটি কতটা ঘনীভূত হয় তার উপরেই নির্ভর করছে ঝড়ের বাস্তবিক রূপ। বেসরকারি মতে, শক্তি বাড়িয়ে এই ঘূর্ণিঝড় বিধ্বংসী রূপ নিতে পারে। আমফানের (Amphan) মতো ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে ফের রাজ্যের একাংশকে তছনছ করে দিতে পারে এই সুপার সাইক্লোন। সরকারি মত অন্য কথা বলছে। আপাতত ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধির দিকে খেয়াল রাখছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহাওয়াবিদরা। অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানিয়েছেন, ‘এটি এখনই বলা সম্ভব নয় কোথায় আছড়ে পড়বে। অন্ধ্র, কেরল, ওডিশা অনেক স্থানেই এর প্রভাব পড়তে পারে। এর অভিমুখ এখনও স্পষ্ট নয়। নিম্নচাপ তৈরির কিছু আগেই বিষয়টি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হবে। তখন আমরা বলে দিতে পারব। এখনই বলে দেওয়া ঠিক হবে না। হাওয়া যে কোনও সময় যে কোনও দিকে ঘুরে যেতে পারে। তবে হ্যাঁ নিম্নচাপ তৈরি হবে। সেটার আকার প্রকারের উপরেই ঘূর্ণিঝড়ের চিত্র নির্ভর করছে। আর এটাই স্বাভাবিক। দক্ষিণবঙ্গের জেলায় প্রচুর বৃষ্টিও হতে পারে এর প্রভাবে। পুরো বিষয়টাই ক্রমশ প্রকাশ্য তা বলা যেতে পারে’।
এর জের আপাতত স্পষ্ট নয় তবে আগামী কয়েকদিন গরম বাড়তে পারে, কারণ এমন কোনও সিস্টেম তৈরি হলেই সমুদ্র থেকে সেটি হাওয়া টানতে শুরু করে। ফলে গুমোট গরম বৃদ্ধি পায়। রাজ্যে এই মুহূর্তে এমনিতেই বিশ্রী গরম চলছে। জ্যৈষ্ঠ মাসের স্বাভাবিক অস্বস্তিকর গরম। সিস্টেম শক্তিশালী হলে এই অস্বস্তি বাড়বে বই কমবে না বলেই মত আবহাওয়াবিদদের।