ভয়াবহ দেশের করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি। মারণ ব্যাধির দ্বিতীয় ধাক্কায় রীতিমতো বেসামাল গোটাদেশ (India)। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। এই অবস্থায় দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও জেলাগুলির করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং জেলা প্রশাসন ও ফিল্ড অফিসাররা কীভাবে সমস্ত কাজকর্ম পরিচালনা করছেন, সেই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন কর্ণাটক (Karnataka), বিহার (Bihar), আসাম (Assam), চণ্ডীগড় (Chandigarh), তামিলনাড়ু (Tamilnadu), উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) , মধ্য প্রদেশ (Madhya Pradesh), গোয়া (Goa), হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) এবং দিল্লির (Delhi) জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের (District Magistrate) সঙ্গে বৈঠক করেছেন মোদী। মঙ্গলবার এই ভার্চুয়াল বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, কর্মকর্তারা কীভাবে মহামারীর সময়ে কাজকর্ম করছেন, কোন রাজ্যের কোন জেলার করোনা পরিস্থিতি কেমন এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও দেশের এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কী কী পদক্ষেপ গ্রহন করা যায় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, আজকের এই বৈঠকে ৯ টি রাজ্যের মোট ৪৬ টি জেলা থেকে ম্যাজিস্ট্রেটরা অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও আগামী ২০ মে প্রধানমন্ত্রী একই রকম আরও একটি বৈঠক করবেন। যেখানে ১০ টি রাজ্যের ৫৪ টি জেলার শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
এদিনের বৈঠকের (Virtual Meet) মুখ্য বিষয়গুলি নীচে তুলে ধরা হল—
● জেলা প্রশাসনকে ‘ফিল্ড কমান্ডারের’ তকমা। মোদী (Narendra Modi) বলেন, “আপনারা সকলেই করোনা যুদ্ধে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন। আপনারা এই যুদ্ধের ফিল্ড কমান্ডার।”
● প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে, করোনার প্রথম তরঙ্গ চলাকালীন ভারত কৃষিক্ষেত্র বন্ধ করে দেয়নি এবং দেখিয়েছিলেন যে গ্রামবাসীরা কীভাবে ক্ষেত্রগুলিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন। বাস্তবে যা দেখে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান।
● করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধান অস্ত্র হল স্থানীয় প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি। তৎপর হয়ে করোনা পরীক্ষা, কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি এবং সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সঠিক তথ্যের পরিবেশন আবশ্যিক।
● মোদী আরও বলেন, বিগত কয়েকদিন দেশে করোনা মামলা নিম্নমুখী। এমন পরিস্থিতিতে আপাময় দেশবাসীকে আরও সচেতন হতে হবে।
প্রসঙ্গত,পরপর ২ দিন ৩ লক্ষের নিচেই রইল করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবারের পর মঙ্গলবারও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পার করল না ৩ লক্ষের গণ্ডি। শুধু তাই নয়। সুস্থতার সংখ্যা পেরলো ৪ লক্ষ। করোনার এই নিম্নমুখী সংক্রমণের হার আশা জাগাচ্ছে। তবে কি করোনা জয়ের পথে ক্রমশ এগোচ্ছে দেশ?