রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যের সব জেলায় পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাও-এর কর্মসূচি নিল বিজেপি। রবিবার বিকেলে দলের রাজ্য দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা ঘোষণা করেন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ। একদিকে দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, মানুষের রক্ত ঝরছে, প্রাণ যাচ্ছে, আর অন্য দিকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলে পুলিশ গুলি চালাচ্ছে।”
ভাটপাড়া, পাত্রসায়র, বীরভূম, চোপড়া-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গার হিংসার কথা উল্লেখ করে দিলীপবাবু বলেন, “রাজ্যে আইনের শাসন নেই। পুলিশকে পথে আনতে আন্দোলনই একমাত্র রাস্তা।” গতকাল রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পদযাত্রার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। এক কিশোর-সহ জখম হয়েছেন চার জন। ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান দিলীপ।
ভাটপাড়ায় গুলি চালানোর ঘটনায় নিহত দু’জনের বাড়িতে গতকাল এসএস আলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে বিজেপি প্রতিনিধিদল পৌঁছে গিয়েছিল। তাঁরা ফিরে যাওয়ার পর ফের উত্তপ্ত হয়েছিল কাঁকিনাড়া। বিজেপি-র অভিযোগ, সার্বিক ভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কাঠামো ভেঙে পড়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে মস্তান এনে বিজেপি অশান্তি করছে। গোটা বাংলাকে আমরা ভাটপাড়া হতে দেব না।” পাল্টা দিলীপ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গোটা বাংলাকে বাংলাদেশ বানাতে চাইতে চাইছে। আমরা সেটা হতে দেব না।”
সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে গত ১২ জুন বিজেপি-র লালবাজার অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে গিয়েছিল। পর্যবেক্ষকদের মতে, এখন সব ইস্যুতেই বিজেপি আন্দোলনে থাকতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। লোকসভার বিপুল সাফল্যের স্পিরিটকে ধরে রাখতে এটাই কৌশল গেরুয়া শিবিরের। তাঁদের মতে, সোমবারও জেলায় জেলায় ধুন্ধুমার বাঁধতে পারে।