দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বেশি ছোঁয়াচে বলে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। বাড়িতে একজন করোনা আক্রান্ত হলে বাকিদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও যথেষ্ট। তার উপরে একজন সংক্রমিত হলে বাকিদেরও নিয়মমতো থাকা উচিত নিভৃতবাসে। এমন অবস্থায় পরিবারে দ্বিতীয় ব্যক্তির জ্বর এলে বা শরীর খারাপ লাগলে কী করা উচিত? জ্বর কি মাপা যাবে কোভিড আক্রান্তের ব্যবহৃত থার্মোমিটারে?
চিকিৎসকেরা বারবার মনে করাচ্ছেন, কোভিড রোগীর ব্যবহৃত কোনও জিনিস যেন বাড়ির বাকি কেউ ব্যবহার না করেন। কিন্তু বাড়িতে একাধিক থার্মোমিটার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মজুত থাকে না। এমন ক্ষেত্রে কী করা হবে, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হচ্ছে। কোভিড রোগীর পরিজনেদের কি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আবার আর একটি থার্মোমিটার কিনে এনে জ্বর মাপা উচিত? তা একেবারেই ঠিক কাজ নয় বলে জানালেন চিকিৎসকেরা।
যাতে করোনা রোগীর শরীর থেকে ভাইরাস না পৌঁছে যায় আর এক ব্যক্তির শরীরে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে চিকিৎসকেদের পরামর্শ, ভাল ভাবে স্যানিটাইজ করে নিয়ে থার্মোমিটার বা অক্সিমিটার ব্যবহার করলে ক্ষতি নেই। খেয়াল রাখতে হবে সেই থার্মোমিটার যেন রোগীর মুখে না দেওয়া হয়।
কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে করোনা আক্রান্তের থার্মোমিটার এবং অক্সিমিটার?
একটি তুলোয় স্যানিটাইটার নিয়ে বার দুয়েক ভাল ভাবে মুছে নিন। তার পরে তা খোলা জায়গায় রেখে দিন। পরিষ্কার করা এবং ব্যবহারের সময়ে মুখে দু’টো মাস্ক থাকা জরুরি। ব্যবহারের পরে অক্সিমিটার-থার্মোমিটার যথাস্থানে রেখে, ভাল ভাবে হাত স্যানিটাইজ করতে হবে।