ভারতে করোনা ভাইরাসের যে ভ্যারিয়েন্ট (B.1.617) পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। এই ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর সংক্রমণের প্রবণতাও বেশি। প্রচলিত ভ্যাকসিন এর বিরুদ্ধে লড়তে পারে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু হয়েছে। এবার ভারত বায়োটেক ঘোষণা করল ভারতে পাওয়া B.1.617 এবং ব্রিটেনে পাওয়া B.1.1.7 ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে কোভাক্সিন কোভিড -১৯ এর পরীক্ষিত প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে নিউট্রালাইজিং টাইটার উৎপাদন করে। যদিও B.1.617 ভেরিয়েন্ট এবং ভ্যাকসিন স্ট্রেন (D614G) এর মধ্যে নিইট্রিলাইজেশন ফ্যাক্টর ১.৯৫ এর ফারাক রয়েছে। তাও এর নিউট্রিলাইজিং টাইটার লেভেল এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। রবিবার ভারত বায়োটেকের জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা এলা এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন “ব্রিটেনে পাওয়া B.1.1.7 এবং ভ্যাকসিনের স্ট্রেন (D614G) এর মধ্যে নিউট্রিলাইজেশন সংক্রান্ত কোনও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়নি।” এই গবেষণা ক্লিনিকাল ইনফেকশস ডিজিজ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ন্য়াশনাল ইন্সিটিউট অফ ভাইরোলজি ও ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের আওতায় এই গবেষণা হয়।
দেশে এখন তিনটি করোনা ভ্যাকসিন রয়েছে। কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন ও স্পুটনিক ভি। করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রস্তুতির উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার দিতে নজর দিতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। কেন্দ্র সরকার ও হায়দরাবাদের এই কোম্পানি ভ্যাকসিনের প্রস্তুতিকরণের জন্য অন্য কোম্পনির সঙ্গে হাত মেলাতে ইচ্ছুক। নীতি আয়োগের তরফে ড. ভি কে পল জানিয়েছেন, “মানুষ চাইছে কোভ্যাক্সিনের বরাত অন্য কোম্পানিকেও দেওয়া উচিত। এই নিয়ে আমরা কোভ্যাক্সিন তৈরির কোম্পানি ভারত বায়োটেকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি ঘোষণা করতে পেরে খুশি যে তারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এই ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে জীবন্ত ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। সেটি একমাত্র BSL3 (Biosafety Level 3) ল্যাবেই সম্ভব। প্রতিটি কোম্পানির এই ধরনের ল্যাব নেই। আমরা সব কোম্পানিকে স্বাগত জানাচ্ছি যারা এই উদ্যোগে যুক্ত চায়। যারা কোভ্যাক্সিন প্রস্তুত করতে চায় সেই সব কোম্পানির একসঙ্গে কাজ করা উচিত। ভ্যাকসিনের উৎপাদন যাতে বাড়ে তার জন্য সহায়তা করবে কেন্দ্র।”